রাজধানীর পার্শ্ববর্তী পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের অন্তত তিনটি সেক্টরে রাজউকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ বালু ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এতে সড়ক ধসে খানাখন্দ সৃষ্টি হচ্ছে, ড্রেন ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে, যা স্থানীয় স্কুলগুলোতে পানি প্রবেশ করে শিক্ষাপ্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন।
গত এপ্রিল মাসে রাজউক অবৈধ বালুর গদি সরানোর নোটিশ দিলেও ব্যবসায়ীরা তা উপেক্ষা করেছেন। পূর্বাচলের পশ্চিম প্রান্ত বালুনদীর পাড়ে ১৩ ও ১৪ নম্বর এবং পূর্বপ্রান্ত শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ৪ নম্বর সেক্টরে ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে। বালু-পাতরবোঝাই ট্রাকের চাপায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
রাজউক সূত্র জানায়, ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে অবৈধ কয়লা ও বালুর ব্যবসা চলত। ২০২২ সালে উচ্ছেদ অভিযান হলেও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি ও জোট নেতারা মিলিত হয়ে পুনরায় দখল করে ১৭টি অবৈধ বালুর গদি গড়ে তোলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, অবৈধ বালু ব্যবসার কারণে সড়ক ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পূর্বাচল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন ও পুলিশকে চিঠি দিয়েছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিতলগঞ্জ ব্রাহ্মণখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীনা রানী ভৌমিক বলেন, বৃষ্টির সময় বালু গদির পানি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষায় বিঘ্ন ঘটে, বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা সতর্ক করে বলেছেন, অবৈধ বালু ব্যবসা অব্যাহত থাকলে পূর্বাচলের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হবে এবং জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে। তারা দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা দাবি করছেন।
একুশে সংবাদ/না.প্র/এ.জে