কুয়াকাটায় সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরনকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। টানা ১২০ দিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বুধবার বিকেলে কুয়াকাটায় ফিরলে স্থানীয় বাসিন্দা, রাজনৈতিক নেতা, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা তাঁকে বিপুল ভালোবাসায় বরণ করে নেন। কুয়াকাটা পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। অনেকে তাঁকে বেঁচে ফেরাকে অলৌকিক ঘটনা ও আল্লাহর কৃপা হিসেবে উল্লেখ করেন। বহু মানুষ শুধু তাঁকে একনজর দেখার জন্য উপস্থিত হন এবং অনেকেই আবেগে কেঁদে ফেলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কুয়াকাটার নিজ বাসভবনের সামনে একদল দুর্বৃত্ত সাংবাদিক মিরনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। বাম হাতের বাহু এবং ডান হাতের কব্জিতে গুরুতর আঘাত এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপের কারণে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হয়ে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করা হয় এবং টানা ৪ মাস নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তিনি বুধবার নিজ শহরে ফিরে আসেন।
তাঁর ফিরে আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দা ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপি এবং যুবদলের নেতাকর্মীরা সংবর্ধনা ও যুবসমাবেশের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এবিএম মোশাররফ হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম। এছাড়া কলাপাড়া ও কুয়াকাটার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোঃ ফারুক এবং সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান সোহেল। উল্লেখ্য, জহিরুল ইসলাম মিরন কুয়াকাটার একজন সাংবাদিক, আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী এবং কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একুশে সংবাদ/ প.প্র/এ.জে