কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সাহাবৃদ্দি-মজিদপুর সড়কের একটি সেতুর মাঝখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কংক্রিটের ঢালাই উঠে গিয়ে রড বেরিয়ে পড়েছে। অস্থায়ীভাবে গর্তের ওপর স্টিলের পাটাতন দিয়ে যান চলাচল সচল রাখা হলেও ঝুঁকি রয়েই গেছে। পাশাপাশি, সেতুটির এক পাশের রেলিং ভেঙে পড়েছে এবং পিলারেও ফাটল দেখা দিয়েছে।
এই সেতুটি মজিদপুর ইউনিয়নের সাহাবৃদ্দি পশ্চিমপাড়া গ্রামের খালের ওপর অবস্থিত। প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের এই সেতুটি দিয়ে চার–পাঁচটি গ্রামের শত শত মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন যাতায়াত করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় দুই বছর ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (এলজিইডি) কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াছেক ও মিজান জানান, দুই বছর আগে সেতুর মাঝখানের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। তখন এলাকাবাসীর উদ্যোগে ভাঙা অংশে স্টিলের পাটাতন দেওয়া হয়। তারপর থেকেই সেতুটি দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েই গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর মাঝখানে প্রায় ৫-৬ ফুট চওড়া ও ১০ ফুট লম্বা গর্ত তৈরি হয়েছে, যেখানে রড বেরিয়ে আছে। সেতুর এক পাশের রেলিং ভেঙে গেছে বহু আগে। ভারী যানবাহন চলাচল একরকম বন্ধ হলেও সিএনজি, মোটরসাইকেল ও রিকশা–ভ্যান ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম বলেন, “গত বছর গর্ত মেরামতের জন্য স্ল্যাব বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু অনুমোদন মেলেনি। বর্তমানে গর্ত বড় হয়ে গেছে শুনে সরেজমিনে পরিদর্শনে যাব। প্রয়োজনে কালভার্ট বা নতুন সেতুর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, সেতুটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার অথবা নতুন সেতু নির্মাণ করা না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
একুশে সংবাদ / কু.প্র/এ.জে