মৌসুমি লঘুচাপ সক্রিয় থাকায় দক্ষিণ উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরেও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে বলেশ্বর-কচা নদীর টগড়া ফেরীঘাট, নদ-নদী তীরবর্তীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে পিরোজপুর সদর এবং তার পার্শ্বর্তী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর তাতে বাড়তে পারে বৃষ্টি। উপকূলীয় এলাকায় বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া। নিম্নচাপের কারণে দেশের চার বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতেও বলা হয়েছে।
এদিকে হালকা দমকা বাতাস, উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি ভাটি অঞ্চলে ধেয়ে আসা এবং সর্বোপরি জোয়ার ও অতিবর্ষণের কারণে পিরোজপুরসহ সন্নিহীত উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া। সেই সঙ্গে বেড়েছে নদী ভাঙন। কচা, বলেশ্বর, কালিগঙ্গা ও মধুমতিসহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, বর্ষা ও জোয়ারের পানিতে রবি মৌসুমে ফসলের ব্যাপক উৎপাদন এ বছরে বোরো ধানের মধ্যে উফশী জাত ব্রি ধান, বিনা ধান এবং হাইব্রিড জাত ও ব্যাবিলনের আবাদ বেশি হয়েছে। এ বীজতলার জমিতে অন্তত এক সপ্তাহ নিমজ্জিত থাকলে পচে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া, বিভিন্ন শিক্ প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিমজ্জিত হয়েছে। জেলার নদ-নদী তীরবর্তী, নিম্নাঞ্চল ও চর এলাকার বাসিন্দারা জানান, বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে নদীর পানি ঢুকে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে অনেকের গবাদিপশু, মাছের ঘেরসহ তলিয়ে যাওয়ায় মাছ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
একুশে সংবাদ / পি.প্র/এ.জে