আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পিয়াজচর গ্রামের ‘ভাই ভাই ক্যাটেল ফার্মে’ দেখা মিলেছে ব্যতিক্রমধর্মী এক গরুর— যার নাম ‘কালো মানিক’। কুচকুচে কালো রঙ, বিশাল আকার আর নবাবী আচরণে ইতোমধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে গরুটি।
প্রায় ৯৫০ কেজি ওজনের এই ষাঁড়টি ফার্মে জন্ম নেওয়া হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান (অস্ট্রেলিয়ান জাতের) গরু। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে লালন-পালন করা হয়েছে। গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা।
গরুর মালিক মো. আক্কাছ আলীর ছেলে ডা. মো. রবিন বেপারী জানান, কালো মানিককে পালন করতে দিনে রাতের সমান যত্ন নিতে হয়। তাকে সামলাতে মাঝে মাঝে ৫-৮ জনের প্রয়োজন হয়। খাবারের তালিকায় রয়েছে খড়, ভূষি, খৈল, পায়রা, ভুট্টা ও প্রতিদিন ৫০-৬০ কেজি কাঁচা ঘাস। দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করানো হয় তাকে।
তিনি আরও বলেন, “ফার্মের ১৮টি গরুর মধ্যে কালো মানিক সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয়। এছাড়াও হাটে তোলার জন্য আরও ৭টি ষাঁড় প্রস্তুত রয়েছে।”
মালিক আক্কাছ আলী বলেন, “কালো মানিকের যত্নে কোনো কমতি করিনি। কৃত্রিম মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করিনি। শুধু প্রাকৃতিক খাবারেই বড় করেছি। এবার ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছি। ৮ লাখ টাকা দাম হাঁকিয়েছি, তবে ভালো ক্রেতা পেলে কিছুটা কম-বেশিও করা হতে পারে।” আগ্রহীদের তিনি ০১৮৭৪৩৩৬২০১ নম্বরে যোগাযোগের আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জহুরুল ইসলাম বলেন, “এ বছর বিদেশি পশু আমদানি না হওয়ায় স্থানীয় খামারিরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছি। হাটগুলোতে চিকিৎসা সহায়তা দিতে আমাদের টিম প্রস্তুত রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “খামারিরা যেন নিরাপদে হাটে গিয়ে পশু বিক্রি করতে পারেন এবং ক্রেতারা যেন তাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পশু কিনতে পারেন—সেই বিষয়েও নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছি সংশ্লিষ্টদের।”
একুশে সংবাদ / মা.প্র/এ.জে