AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভারতে জেল খেটে বেনাপোল দিয়ে স্বদেশে ফিরলো ৪ যুবক


Ekushey Sangbad
ইয়ানুর রহমান, যশোর
১০:২৪ পিএম, ২০ মে, ২০২৫

ভারতে জেল খেটে বেনাপোল দিয়ে স্বদেশে ফিরলো ৪ যুবক

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্বদেশের মাটি স্পর্শ করলেন ভারতের কারাগারে আটক থাকা চার বাংলাদেশি যুবক। সোমবার (২০ মে) সন্ধ্যায় ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ভারতের হরিদাসপুর আইসিপি ইমিগ্রেশন ব্যুরো পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

দেশে ফিরে আসা যুবকরা হলেন:পঞ্চগড় জেলা সদরের ভিটরগড় এলাকার পশ্চিমবাগান ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলাউদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন, পাসপোর্ট নম্বর: A-06214080, তেতুলিয়ার তিরনাইহাটের শমসের আলীর ছেলে তারিকুল ইসলাম, ঢাকার কদমতলী এলাকার মোহাম্মাদবাগের আব্দুস সালামের ছেলে শিফাত, পাসপোর্ট নম্বর: B-00083129,. কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার সংকুচিয়া এলাকার ধর্মানগরের আব্দুল মুন্নাফের ছেলে লিলুফা ওরফে শাহিন ওরফে বাপ্পি, তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, তারা দালালের মাধ্যমে ভালো কাজের আশায়—দুজন পাসপোর্টে এবং দুজন অবৈধ পথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মুম্বাই শহরে বসবাস করতে যান। তবে বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট না থাকায় সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে কারাগারে পাঠায়।

প্রায় আড়াই বছর কারাভোগের পর মুম্বাইয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (এনজিও) তাদের কারামুক্ত করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এরপর বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইব্রাহিম আহম্মেদ বলেন,“ফেরত আসা যুবকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে তাদের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য যশোরের ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় তরুণদের সচেতন হওয়া দরকার, যাতে কেউ দালালের প্রলোভনে পড়ে অনিশ্চিত পথে পা না বাড়ায়।”

এদিকে দেশে ফিরে আসা যুবকদের চোখেমুখে ছিল স্বস্তির ছাপ। তারা জানান, জীবনের এই কঠিন অভিজ্ঞতা তাদের শিখিয়েছে—দেশে থেকে বৈধ পথে উপার্জনের চেষ্টা করাই সবচেয়ে নিরাপদ ও সম্মানের।

 

একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে

Link copied!