যশোরে ককটেল বিস্ফোরণে আহত শিশু খাদিজার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। হৃদয় বিদারক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারসহ পুরো এলাকায়। এঘটনায় এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে ওই ককটেল নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে রহস্য দেখা দিয়েছে। আসলেই কি মাঠে ককটেলটি পাওয়া গেছে নাকি ঘরে ছিল তা নিয়ে ধ্রুম্রজাল দেখা দিয়েছে। খাদিজা শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত সুজনের মেয়ে।
স্বজনদের দাবি, সকাল ৮টার দিকে ছোটনের মোড়ের পাশের খেলার মাঠে পড়ে থাকা একটি ককটেলকে টেনিস বল ভেবে কুড়িয়ে আনে সে। পরে ওই `বল` দিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হয় খাদিজা, ছয় বছরের সজিব ও তিন বছরের আয়েশা। দ্রুত তিনজনকেই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়, খাদিজার বাবা সুজন মারা যাওয়ার পর ছোট ভাই শাহাদাতের সাথে ওই শিশুর মায়ের বিয়ে হয়। শাহাদাত রিকশা চালায়।
সোমবার সকাল ৮টার সময় ঘরের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে। শাহাদাত সন্ত্রাসী মুসার সহযোগী। খেলা করার সময় একসাথে একাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ওই পক্ষের দাবি শাহাদাত ওই বোমা গোপনে ঘরের মধ্যে রেখে দেয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।
চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, খাদিজার মাথা ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত লাগে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
খাদিজার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, ‘গুরুতর আহত শিশুটি ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম কাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, মাঠে ককটেলটি কিভাবে এলো, তা খুঁজে বের করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে