বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া-বারইখালী ইউনিয়নের হোগলপাতি মাদ্রাসা সংলগ্ন কাঠের পুলটি ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা এ পুলটির মাঝখান সম্প্রতি ভেঙে পড়ে চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এখন স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে হামাগুড়ি দিয়ে পারাপার করছেন। বিকল্প পথ না থাকায় পুলটি ব্যবহার করেই ঝুঁকি নিয়ে মাদ্রাসা, স্কুল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
পুলটির নিচে খাম্বা নেই, কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাময়িক জোড়াতালি দিয়ে বহুবার পারাপারের ব্যবস্থা করা হলেও কয়েকদিন আগে সেটিও ভেঙে পড়ে। আশপাশে রয়েছে হাজী নূরউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল, হেফজখানা, মসজিদ, পাঠাগার, সাইক্লোন সেল্টার ও বিশাল পানির ট্যাংক—সবকিছুই এ পুলের উপর নির্ভরশীল।
স্থানীয় শিক্ষার্থী ইভা, জাবের, সাথী, রাব্বিসহ অনেকেই জানায়, প্রতিদিন ক্লাসে আসতে গেলে জীবন নিয়ে শঙ্কায় থাকে তারা। এরই মধ্যে একাধিক মোটরসাইকেলসহ লোকজন খালে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
মাদ্রাসা সুপার আব্দুল লতিফ ও সহ-সুপার মেহেদী হাসান জানান, ঝুঁকির কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে আসতে পারছে না, শিক্ষকেরাও সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না। এটি এখন "মরণফাঁদ" হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বারইখালী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, “পুলটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। দ্রুত এখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন।”
নিশানবাড়িয়া ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম জানান, “পুলটি সচল রাখতে আমরা নিজেরাই বহুবার মেরামত করেছি। এলজিইডি থেকে মাপঝোঁক সম্পন্ন হলেও বরাদ্দ বা বাস্তবায়ন হয়নি।”
উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পুল। ইতোমধ্যে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।”
স্থানীয়রা বলছেন, এটি শুধুমাত্র একটি কাঠের পুল নয়—এটি পুরো এলাকার জীবনরেখা। দ্রুত একটি ব্রিজ না হলে ঘটতে পারে প্রাণহানির বড় দুর্ঘটনা।
একুশে সংবাদ/বা.প্র/এ.জে