ফরিদপুর শহরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে শারদীয় দুর্গাপূজার অন্যতম আকর্ষণ কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহাঅষ্টমী পূজাকে কেন্দ্র করে জেলার নয়টি উপজেলার ৭৫৮টি মণ্ডপে একযোগে পূজার আয়োজন হয়। ভক্ত-দর্শনার্থীদের ঢলে শহর ও আশপাশের এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চরকমলাপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই নানা বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুসহ হাজারো মানুষ সেখানে জড়ো হন। পূজা শেষে মিশনের পক্ষ থেকে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, ভক্তরা নতুন পোশাক পরে দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করছেন। মন্ত্রপাঠ, ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এক অনন্য উৎসবের আবহ।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মহাঅষ্টমীর দিনে ১ থেকে ১৬ বছরের অবিবাহিতা কন্যাকে দেবীজ্ঞানে পূজা করার নিয়ম রয়েছে। নির্বাচিত কুমারীকে গোসল করিয়ে নতুন পোশাক, কপালে সিঁদুরের তিলক ও পায়ে আলতা দিয়ে পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী জাতি পবিত্র ও মাতৃসুলভ রূপে প্রতিফলিত হয়।
রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিত নীলরতন ঝা বলেন, “মা দুর্গার যে কয়েকটি রূপ আছে, তার মধ্যে কুমারী অন্যতম। অষ্টমীর দিন দেবীকে শিশু রূপে পূজা করাকেই কুমারী পূজা বলা হয়।”
ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী সুরবানন্দ মহারাজ জানান, “শাস্ত্রমতে কুমারী পূজা সমাজে শুভশক্তির বিকাশ ও অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটায়। এতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।”
একুশে সংবাদ/এ.জে