বাংলাদেশের কওমি অঙ্গনের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র, প্রথিতযশা আলিম, আধ্যাত্মিক সাধক এবং আরবি সাহিত্যের মণীষী আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভী (রহ.) আর নেই। গত ২ মে দিবাগত রাত ১২টায় তিনি চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। ১৮ এপ্রিল গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কয়েক দফা আইসিইউতেও নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে এক আলোকিত যুগের অবসান ঘটে এই বরেণ্য আলেমের ইন্তেকালে।
তাঁর অবদান
আল্লামা যওক নদভী ছিলেন:
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা
জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়া, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
আন্তর্জাতিক ইসলামী সাহিত্য সংস্থা International League of Islamic Literature-এর বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ
আধুনিক কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার ও মানোন্নয়নে অগ্রণী ব্যক্তিত্ব
বহুগ্রন্থপ্রণেতা ও একজন শায়খুল আদব (সাহিত্যের মুরব্বি)
তিনি ছিলেন হযরত আল্লামা হারুন বাবুনগরী (রহ.), সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.), বোয়ালভী সাহেব (রহ.) ও হ্নীলার সদর সাহেব (রহ.)-এর খলিফা। তাঁর আরবি ভাষা ও সাহিত্যে অসামান্য দখল ও অবদান তাঁকে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আরবিভাষী আলেমে রূপান্তরিত করে।
মরহুমের ওসিয়ত অনুযায়ী জানাজা বিলম্ব না করে শনিবার (৩ মে) বিকাল ৪টায় জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়া প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর মৃত্যুতে কওমি অঙ্গন, আলেম সমাজ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ মুসলিমদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশ-বিদেশের বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকায় তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এক যুগসন্ধিক্ষণের এই বরেণ্য আলেমের বিদায়ে জাতি হারাল এক জ্ঞানের বাতিঘর, ইলম ও তাসাউফের এক অবিনাশী আলো।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :