“শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, উন্নয়নের শপথ করি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১ মে) রায়গঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। তবে আয়োজনে শ্রমজীবী মানুষদের অনুপস্থিতি ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
দুপুর ১২টার দিকে রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, আইসিটি কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। কিন্তু অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল প্রায় অদৃশ্য।
স্থানীয় রিকশাচালক, দিনমজুর ও নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, দিবসটি শ্রমজীবী মানুষের জন্য হলেও তাদের কেউ আমন্ত্রণ জানায়নি। এক শ্রমিক বলেন, "প্রতি বছর মে দিবস আসে, যায়। আমাদের কেউ ডাকে না, আমরা শুধু কাজ করেই যাই।"
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. শামছুল ইসলাম বলেন, “অনুষ্ঠানে কোনো শ্রমিক চোখে পড়েনি।” জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম বিশ্বাসও বলেন, “আমাকে রাজনৈতিকভাবে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল না।”
উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, "আমরা ১০ জন শ্রমিক পাঠিয়েছিলাম, তারা উপস্থিত হয়েছিল কি না, তা আমার জানা নেই।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির প্রথমে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে পরে জানান, "১০ জন শ্রমিকের উপস্থিতিতে দিবসটি পালন করা হয়েছে।"
স্থানীয়দের মতে, শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত না করে মে দিবস পালন মূল উদ্দেশ্যকেই ভূলুণ্ঠিত করে। তারা প্রশাসনের কাছে ভবিষ্যতে শ্রমজীবী মানুষের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি জানান।
একুশে সংবাদ//সি.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :