চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি ও খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইটভাটায় মাটি সরবরাহের জন্য এই মাটি কাটা হচ্ছে, ফলে কৃষি জমি ও খালের গতিপথ বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
অভিযোগে বলা হচ্ছে, ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আধার মার টেক কালিপুর এলাকায় ভেকু (এক্সক্যাভেটর) দিয়ে মাটি কাটার ফলে খালের গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফসলি জমি গভীর খাদে পরিণত হয়েছে এবং মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এই বিষয়ে অভিযোগ জানালেও প্রভাবশালী মহলের ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
খাল ও ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয়রা এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, বিগত সময়ে খালের মাটি কাটার মাধ্যমে সরকারি খাল থেকে মাটি লুট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল, কিন্তু বর্তমানে এটি আরও ব্যাপকভাবে হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন জানান, তারা অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি ক্ষেত্রের মালিক কৃষক মোহাম্মদ রফিক জানান, ঘাগড়া খালের পাড় থেকে তার জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার কারণে তার কৃষি জমির উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তিনি ক্ষতিপূরণ চান।
এই ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশা তৈরি হয়েছে, এবং তারা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের আশা করছেন।
একুশে সংবাদ//চ.প্র/এ.জে