চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার ফাতেমা বেগম নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে দেবর রিপন গাজীকে মৃত্যুদণ্ড ও শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম গাজী এবং শাশুড়ি শাহানারা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার গৃহবধূ ফাতেমা (২৮) প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী। নারায়ণগঞ্জ জেলার গোরাকান্দাইল এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে ছিলেন তিনি।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন গাজী (৩৫) জেলার হাইমচর উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়ার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম গাজীর (৬৫) ছেলে।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানান যায়, ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে শাশুড়ি শাহানারা বেগম (৫৮) কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফাতেমা বেগমের গলা চেপে ধরেন। ওই সময় শ্বশুর ও দেবর ফাতেমা বেগমের পেটে লাথি মারেন। ঘটনাস্থলে গৃহবধূ ফাতেমার মৃত্যু হয়।পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ির পুকুরে নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। পরদিন সকালে বাড়ির লোকজন পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এই ঘটনায় নিহত ফাতেমা বেগমের ভাই ইউসুফ খান বাদী হয়ে হাইমচর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর তৎকালীন হাইমচর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
একুশে সংবাদ//চাঁ.প্র//এ.জে