পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দিন দিন বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিন পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বন্য পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় উপজেলার সকল বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্ধার্থ ভৌমিক, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল আলিম, জেলা দুর্যোগ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, বালিয়াকান্দি উপজেলার ইউএনও কাবেরী রায়, কালুখালী উপজেলার ইউএনও মহুয়া আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম তালুকদার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, জেলা রেডক্রিসেন্ট সমিতির সেক্রেটারী আকরাম হোসেন প্রমূখ।
সভায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে আরো ৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে পানির লেভেল ৭ দশমিক ৭৫ মিটার। অর্থাৎ বিপদসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য ৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৪৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়। ইতিমধ্যে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, প্রতিদিন বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। এখন থেকে বন্যা কবলিত এলাকার সকল বিভাগ প্রস্তুত থাকবে। প্রতিটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে হবে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করাসহ গবাদি পশুর জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আজকের সভার পর প্রত্যেক ইউএনও ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের কাল সোমবারের মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরী সভা করার কথাও বলেন তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

