AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আচার বিক্রি করে সংসার চলে আসিফের


আচার বিক্রি করে সংসার চলে আসিফের

আচার বিক্রি করে সংসার চলে আসিফের। নানান স্বাদের ও মজাদার আচার বিক্রি করেন আসিফ। আর এই আচার বিক্রি করে ভালোই আয় হচ্ছে তার। সংসারও চলছে বেশ ভালো।

প্রতিদিন ১ হাজার ২ শ থেকে ১ হাজার ৫ শত টাকার আচার বিক্রি হয়। প্রতিমাসে সে ৪৫ হাজার টাকার আচার বিক্রি করেন।এই টাকা দিয়েই তার পরিবারের ভরণপোষণ চলে।

দীর্ঘ ৫ বছর ধরে নানা ধরনের আচার তৈরি করে বিক্রি করেন আসিফ। সকাল হলেই নিজের বানানো আচার মাথায়  নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন তিনি।গ্রাম ও শহরের অলিগলি ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন তা। তার আচারের ভক্ত শিশু থেকে শুরু সব বয়সী মানুষ।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে তিনমাস ধরে আচার বিক্রি করছেন আসিফ। নানা ধরনের হাকঁডাক দিয়ে তিনি আচার বিক্রি করছেন। আচার লাগবে আচার, নানান স্বাদের আচার, মজাদার আচার- আসিফের এমন ডাকে ছুটে আসেন আচারপ্রেমীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে মো. আসিফ। বাবা, মা নিয়ে তার ছোট সংসার।

সরেজমিন বৃহস্পতিবার (১৬ মে)সকালে আসিফের সাথে দেখা হয় উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামে। আসিফসহ ১০ জন বর্তমানে গফরগাঁও উপজেলায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

বীরকামট খালী মড়ল বাড়িতে বসে আসিফ আচার বিক্রি করছেন। তার চারপাশে ভীড় করেছেন স্থানীয় আচারপ্রেমিরা। তাদের কেউ কেউ আচার কিনে খাচ্ছেন।

অনেকের কাছেই আসিফের আচার অনেক প্রিয়। আচার কিনে খাচ্ছেন হামিম, সিদ্দিকসহ অনেকেই।হামিম বলেন, আচার কিনে খেয়েছি। অনেক স্বাদের আচার। সিদ্দিক জানায় আচার আমার অনেক পছন্দ। টকঝাল আচার খেয়েছি। অনেক ভালো আচার।

আসিফ বলেন, ঢাকা থেকে আচার আনতে হয়। প্রতিমাসে দুইবার আমরা ঢাকা থেকে আচার নিয়ে আসি। পরে সেগুলো আমরা দলবেঁধে বিক্রি করি।

প্রতিদিন সকালে বড় স্টিলের পাত্রে আচারগুলো সাজিয়ে তারা দলবেঁধে বেরিয়ে পড়েন বিক্রির জন্য। আচারে যেন রাস্তার ধুলোবালি ও ময়লা, পোকা, মাছি না পড়ে সেজন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। সব সময়ই তারা বড়ই, তেঁতুল, আম, আমড়া, চালতাসহ নানা পদের সুস্বাদু টক-মিষ্টি-ঝাল আচার বিক্রি করেন। তার সাথে বাদাম, বুট বিক্রি করেন আসিফ। 

আসিফ বলেন, প্রতিদিন সকালে গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন স্কুলের সামনে, অলিগলি ঘুরে আচার বিক্রি শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরি। প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ শত টাকার আচার বিক্রি হয়। এই টাকা দিয়েই আমার পরিবারের ভরণপোষণ চলে। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!