AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চিকিৎসকের অবহেলায় শ্রীপুরে প্রসূতির মৃত্যু


চিকিৎসকের অবহেলায় শ্রীপুরে প্রসূতির মৃত্যু

গাজীপুরের শ্রীপুরে বরমী বাজারের ‘নাগরিক হাসপাতাল’ থেকে করা সিজার করার পর কামরুন্নাহার নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়।

শুক্রবার রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন কামরুন্নাহার। পরিবারের দাবি, চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে কামরুন্নাহারের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত কামরুন্নাহার ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার সাধুয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম মীরের স্ত্রী।

জানা জানা যায়, অপারেশনের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে মূমুর্ষ অবস্থায় কামরুন্নাহারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় নাগরিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম সরকার ও চিকিৎসক ইশরাত জাহানকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দেন ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের স্বজনেরা বলেন, ‘ভাবীর আগে এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। শুক্রবার তৃতীয় সন্তান জন্মের জন্য ভাবীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মেয়ের জন্ম হয়। অপারেশন করেন চিকিৎসক ইশরাত জাহান। অপারেশনের পরে রক্তক্ষরণ হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। গভীর রাতে ভাবীর অবস্থা অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে আজ সকালে ভাবী মারা যান।’

কামরুন্নাহারের স্বামী সাইফুল ইসলাম মীর বলেন, ‘সিজারিয়ান অপারেশনের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। তারা বলেছে ডাক্তার চলে গেছে সকালে আসবে। এর মাঝেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার স্ত্রী মারা গেছেন, আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে নাগরিক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘রোগীর সিজারের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে আমরা তাকে ময়মনসিংহ পাঠিয়ে দিই। এখানে আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না। আমরা রক্তক্ষরণ বন্ধের অনেক চেষ্টা করেছি। এ ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ইসরাত জাহানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘এভাবে একের পর এক প্রসূতি মারা যাওয়া সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!