পটুয়াখালীর বাউফলে ইক্বরা ইসলামিক মডেল একাডেমির ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিল (৮) কে নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানাজানি হলে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৫ দিন পর আদিলকে দেখতে যান শিক্ষকরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ক্লাস চলাকালীন সময় এক শিক্ষার্থী জোরে হেসে উঠলে তা দেখে আদিলও হাসে। এতে শিক্ষক বাইজিদুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করেন। পরে আদিলের মাথা ধরে ছেলেদের টেবিল থেকে মেয়েদের টেবিলের ওপর আছড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।
বিকেলে আদিলকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান, শিশুটির দুই কানে ক্ষত হয়েছে এবং ডান কানের পর্দা ছিঁড়ে গেছে।
শিশুটির মা লিমা আক্তার বলেন, দুপুরে খাবার খেতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। পরে বুঝতে পারি শিক্ষক তাকে মারধর করেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক বাইজিদুর রহমান বলেন, মেডিকেল রিপোর্ট তো মিথ্যা নয়। তবে আমি তাকে এতটা মারিনি। হয়তো শারীরিক দুর্বলতার কারণে এমন হতে পারে।
ইকরা একাডেমির পরিচালক মুশফিকুর রহমান বলেন, ঘটনা যেভাবেই হোক ঘটেছে। বিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্যিক বা আবাসিক ভবনে স্কুল পরিচালনা বেআইনি। দ্রুত তদন্ত করে শিশুদের নিরাপত্তা ও মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ এনআই



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

