রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী মহাদেবপুর, বেনিনগর ও কালিতলা এলাকায় থেমে থেমে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে প্রায় ৩০ বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে সহস্রাধিক পরিবারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ সড়ক, ব্রীজসহ বহু স্থাপনা।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মিজানপুর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী মহাদেবপুর, বেনিনগর ও কালিতলা এলাকা জুড়ে থেমে থেমে ফসলি জমি ভাঙছে। মাঝে মধ্যে ভাঙনের মাত্রা বেশি দেখা যায়। নদীর পাড়ের অনেক জায়গা দেবে গেছে। পটল, ডেড়স, ধুনদুল, উচ্ছেসহ নানা সবজি ও ফসল তোলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষক।
মহাদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ফসলী জমির পর এখন মারাত্বক ঝুঁকিতে পড়েছে মহাদেবপুর, বেনিনগর ও কালিতলা গ্রামের হাজার হাজার বসতবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক, ব্রীজ, মহাদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু স্থাপনা। জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বড় ধরনের বিপদ আসতে যাচ্ছে।
বেনি নগর গ্রামের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, প্রতিনিয়ত ভাঙনের কারণে নিঃস্ব হচ্ছেন তারা। যেভাবে ভাঙছে এতে বসতবাড়ি নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটে পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদের। যে কারণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনিও।
লালগোলা এলাকার বাসিন্দা সুলতান সরদার বলেন, নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে এখনও কাজ শুরু হয়নি। আবার গত বছরের ভাঙনে যে সমস্ত এলাকায় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিলো তাও কেটে নিয়ে যাচ্ছে গাঁজাখোর ও বখাটেরা। এতেও বাড়ছে ঝুঁকি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমীন বলেন, রাজবাড়ী জেলায় পদ্মা, হড়াই ও গড়াইসহ ৮৫ কিলোমিটার নদীপথ রয়েছে। যেখানেই ভাঙন দেখা দেয় গুরুত্ব ভেদে ব্যবস্থা নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিছু অসচেতন মানুষ জিও ব্যাগ কেটে নিয়ে যাওয়ার কারণে একই এলাকায় বার বার ভাঙন দেখা দেয়। আবার পানি বাড়লে ওই সকল এলাকা চিহিৃত করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পরে। তাই এলাকাবাসীকে এ ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে।
একুশে সংবাদ/জ.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :