AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নরসিংদী সদর হাসপাতালে ছাদের আস্তরণে ধস


নরসিংদী সদর হাসপাতালে ছাদের আস্তরণে ধস

১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ডে ছাদের আস্তরণ কয়েকটি স্থানে ধসে পড়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কে সময় পার করছে এই হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা। কয়েকদিন আগে শিশু ওয়ার্ডের উপরের আস্তর ভেঙে পড়ে শেফালী বেগম  নামে একজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগীর স্বজনেরা। এনিয়ে রোগী ও রোগীর আত্মীয়-স্বজনসহ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

ছোট্ট শিশু নিয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি বিলকিস বেগম ও মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি আফরোজা খান বলেন, উপরের ছাদ থেকে ধ্বসে পড়ছে আস্তো আস্তো ইটের টুকরো। এগুলো আমাদের শরীরে পড়ছে। ব্যথা পাচ্ছি আমরা। একটু একটু করে আস্তরণ খসে খসে পড়ছে। এতে করে শিশু নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আমরা সময় কাটাচ্ছি। সদর হাসপাতালে আমরা চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো প্রাণ ভয় নিয়ে এই জায়গায় ভর্তি রয়েছি। এর আগেও একজনের শরীরে বড় ইটের টুকরো পড়ে গুরুতর আহত হয় বলে শুনেছি। কিন্তু এটা সমাধানে কোন ব্যবস্থাই চোখে পড়ছে না। 

নাম গোপন রাখা শর্তে সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মচারী ও নার্সরা বলেন, সবচেয়ে বেশি প্রাণভয়ে আমরা ভুগছি। হাসপাতালটি অনেক পুরনো হওয়াতে নারী পুরুষ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের উপরের ছাদ ভেঙে যাচ্ছে। খসে খসে আমাদের শরীরে পড়ছে। রোগীদেরকে সেবা দিতে গিয়ে আমরাও চরম হুমকির মুখে পড়েছি। কখন জানি কত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এর আগেও এক দুই জন রোগী উপর থেকে পড়া ইটের আঘাতে আহত হয়েছে। পুরো হাসপাতালটি বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরও তারা কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মাহমুদুল কবীর বাশার কমল বলেন, সময় পরিক্রমায় মাত্র ১০ শয্যা থেকে ক্রমান্বয়ে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে নরসিংদী সদর হাসপাতাল। কিন্তু অর্ধশতাব্দীকাল পার হলেও এর অবকাঠামোগত তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। শুধু দফায় দফায় মেরামত হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের উপরের ছাদের আস্তর ধসে পড়ছে সেটা সত্যি কথা। এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি তারা ব্যবস্থা নিবে। 

সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তান শাসন আমলেরর ১৯৬২ সালে রুরাল হেলথ সেন্টার নামে ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। ১০ বছর পর রুরাল হেলথ সেন্টার থেকে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উন্নীত করা হয়। ১৯৭৬ সালে হাসপাতালটি ৩১ শয্যায় উন্নীত হয়। ১৯৮৪ সালে হাসপাতালটির ক্যাপাসিটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০০৩ সালে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেনি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!