AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মহাখালী আইসিডিডিআরবি’তে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা


Ekushey Sangbad
বেলায়েত হোসেন, ঢাকা
০৯:১৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪
মহাখালী আইসিডিডিআরবি’তে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা

অসহনিয় গরমে রাজধানীর মহাখালী কলেরা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সর্দি জ্বর-কাশি শ্বাসকষ্ট টাইফয়েড ও ডায়রিয়ার লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভির করছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। গরম বাড়লে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে, তাই গরমের এই সময়ে শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। 

মহাখালী আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে তীব্র গরমের ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে রোজ চার থেকে পাঁচশ রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে। রোগীদের বেশিরভাগ ১২ মাসের নীচের, আর ষাট বছরের বেশী বয়সী রোগী। সর্দি, জ্বর-কাশি শ্বাসকষ্ট আর খিঁচুনি নিয়ে ভর্তি হচ্ছে তারা। অতিরিক্ত গরমে টাইফয়েড, পানিবাহিত হেপাটাইটিস বা জন্ডিসের প্রবণতাও বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশুদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়ে পানি শূন্যতা তৈরী হচ্ছে। এই অবস্থায় হিট স্ট্রোকের শঙ্কাও দেখা দেয়। 

চিকিৎসকগণ জানান শিশুদের শরীরে তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিকশিত না থাকায় অধিক তাপ প্রবাহে তাদের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তীব্র রোদে রাস্তার খোলা খাবার, পানি, শরবত ও কেটে রাখা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ দূষিত খাবার থেকেই জন্ডিস, টাইফয়েড আর হেপাটাইটিসের মতো রোগ ছড়ায় বেশি। 


আইসিডিডিআরবির গবেষক ডা: যোবায়ের চিসতী পরামর্শ দিলেন রোদে বেশীক্ষণ না থাকার। আর বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করার। এসময় সাথে স্যালাইনের শরবত রাখার পরামর্শ দেন তিনি। প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে দেশ। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। 


চিকিৎসকদের মতে, রাজধানীসহ সারা দেশ প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে রয়েছে। ছোট  থেকে বড় সবাই গরমে কাবু হচ্ছে। আর তাতে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে পানির মাধ্যমে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে।  হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ সময়ের তুলনায় এখন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই শিশু। এমনকি ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে জনসমাগম বাড়লে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে শঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।


নরসিংদী থেকে আসা মেহজাবিন জানান, গত তিন-চার দিন যাবত আমার মেয়ে ফারিয়ার সমানে পাতলা পায়খানা ও বমি। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে শেষ-মেষ এখানে এসেছি, ডাক্তাররা আমার মেয়েকে দেখে স্যালাইন ও ঔষধ দিয়েছে, এখন কিছুটা ভাল মনে করছি।


অপরদিগে সাভার থেকে আসা মনির হোসেন এসেছেন তার সাটুর্ধ বাবাকে নিয়ে, তিনিও এক সপ্তার উপরে পাতা পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দিয়েও কোনো ফল না পেয়ে তিনিও রাজধানীর আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হয়েছেন। এখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার ভিতরে তার বাবাও অনেকটা সুস্থ।


বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেন এই সময় যেহেতু গরমের তীব্রতা বেশি, সেহেতু গরম জনিত যে কোন সমস্যা থেকে বাঁচতে নিজেদেরকে সচেতন হতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকদের পরামর্শে ওসুধপত্র যথাসময়ে সেবনেরও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ
 

Link copied!