AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কেন্দুয়াতে বাড়ছে সর্দিজ্বর জনিত রোগের প্রকোপ,  হাসপাতালে রুগীর চাপ 


Ekushey Sangbad
আশরাফ গোলাপ, কেন্দুয়া, নেত্রকোনা
০৪:৫৬ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
কেন্দুয়াতে বাড়ছে সর্দিজ্বর জনিত রোগের প্রকোপ,   হাসপাতালে রুগীর চাপ 

ভাদ্রের আকাশ ভরা রোদ তো আবার ঘন বর্ষার হাতছানি। দেখা যাচ্ছে দিনের বেলায় প্রচুর গরম, তার ভিতরে আবার হঠাৎ বৃষ্টি চলে এলো।কেউ কেউ একটু বৃষ্টিতে ভিজলেন আবার প্রচুর গরম থেকে ঘেমে শরীর  ঠান্ডা হয়ে গেল। 

 

এরকম পরিস্থিতিতে  নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় জ্বর,কাশি, সর্দি,মাথাব্যথার প্রকোপ এখন প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে।  ফলে কমিউনিটি ক্লিনিক সহ  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার বেশির ভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বর সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত।  তাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন ফার্মেসী থেকে উপসর্গের কথা বলে ঔষধ কিনে সেবন করছেন। এ ভাবে অনেকে সুস্থ হয়েও উঠছেন। আবার কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারগুলোতে এ ধরনের রোগীদের ভিড় ভাড়ছে।
 

কেন্দুয়া  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকালে টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় রোগী ও তাদের আত্নীয় স্বজনদের। এর মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের ৩০-৪০ শতাংশই সর্দিজ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছে।

 

৫ বছর বয়সী শিশু মুনকে ডাক্তার দেখানোর পর বাড়ি যাচ্ছেন বাবা রেজাউল।তিনি জানান, আমার মেয়ে দুদিন থেকে খুবই জ্বর-সর্দি আর কাশিতে ভুগছে। এলাকার ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে খাওয়া হয় কিন্তু তখনও জ্বর কমেনি তাই স্থানীয় বাজারে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে গেছিলাম।

 

জ্বরে আক্রান্ত অটোভ্যান চালক কাজল মিয়া বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে গাড়ি চালিয়েছি। সকালে প্রচন্ড রোদ আবার বিকেলে ঝুমবৃষ্টি। কখনো ভ্যাপসা গরম, আবার হাল্কা ঠান্ডা শরীরে লেগে কয়েকদিন থেকে জ্বর নিয়ে ঘুরছি। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করে যাচ্ছি।

 

কেন্দুয়া বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী আল আমিন  বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সর্দিকাশি জ্বরের ঔষধ বিক্রি ব্যাপক বেড়ে গেছে। যা অবস্থা তাতে মনে হয় এখন ঘরে ঘরে জ্বর। এ ধরনের বেশির ভাগ রোগী বা রোগীর স্বজন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে তাদের কাছে এসে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা.মাহফুজুর রহমান জয় বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে হঠাৎ সর্দি-জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে অনেক।এটা মূলত ভাইরাস জনিত  জ্বর।হাসপাতালে এই জ্বর নিয়ে আসা রুগীর চাপ বেড়েছে। যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।হাসপাতালে রুগীর সংখ্যা আগের চেয়ে ৩০-৪০ শতাংশ বেড়েছে।তিনি আরো বলেন হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষধ মজুদ আছে।এ নিয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। এই সর্দি-জ্বরের জন্য দোকান থেকে এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না।  শুধুমাত্র প্যারাসিটামল খেতে হবে।পাশাপাশি সর্বদা তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং বাসায় বিশ্রামে থাকতে হবে। আর যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে এসে ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন।

একুশে সংবাদ/স ক

Link copied!