ঢাকার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জখম এক বৃদ্ধের মরদেহ ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনাজনিত কারণে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর আতঙ্ক থেকেই হয়ত উদ্ধারকারীরা মরদেহ হাসপাতালে রেখেই চলে গেছেন।
শনিবার রাতে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এর আগে সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে অচেতন অবস্থায় এক বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন দুই ব্যক্তি।
নিহত জাহিদুল ইসলাম (৬০) রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার বৈরামপুর গ্রামের আজমিয়া পাইকারের ছেলে।সাভারের ইমান্দিপুরে থাকতেন তিনি। প্যাডরোলো পানির পাম্পের শোরুমে সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করতেন জাহিদুল।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা জানান, সন্ধ্যায় এক বৃদ্ধকে আহত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন দুই ব্যক্তি। এসময় দুই ব্যক্তির পরিচয় লিখতে চাইলে তারা রিকশা ভাড়া দেয়ার কথা বলে চলে যান। এরপর তারা আর ফিরে আসেননি। ৬০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে আসার পূর্বেই মারা গেছেন।
রেদোয়ান সিকিউরিটিজ এজেন্সির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রেদোয়ান হোসেন খন্দকার বলেন, `সোলেমান নামে এক বৃদ্ধ আজ জাহিদুলকে আমার অফিসে নিয়ে আসেন চাকরির জন্য। মাগরিবের আগেই আমার সাথে কথা বলে তারা দুজনেই চলে যান। একটু পরেই শুনি জাহিদুলের মরদেহ হাসপাতালে। পরে আমি সোলেমানের সাথে ফোনে কথা বলি। তিনি আমাকে বলেন, অফিস থেকে বেরিয়ে জাহিদুল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রেডিও কলোনী থেকে একটি বাসে উঠে তালবাগ যায়। জাহিদুল তার বাসা ইমান্দিপুরে যাবে বলে সেখানে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলো।`
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব বলেন, সন্ধ্যায় দুই ব্যক্তি জাহিদুলকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে জাহিদুল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলে চিকিৎসককে জানিয়েছিলো। পরে চিকিৎসক জাহিদুল নামে ওই বৃদ্ধকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহতের কপালে ও পায়ে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর যারা হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন তারা হয়ত আতঙ্কেই এটা করেছেন। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :