বাগেরহাটের চিতলমারীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসবভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছেন।
সকালে ১১টায় চিতলমারী উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের আয়োজনে উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত ভাতা এবং বাড়িভাড়া এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। শিক্ষকরা দাবি করেছেন, এই দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।
চিতলমারী উপজেলা বিএনপি নেত্রী রুনা গাজী বলেন, “শিক্ষক সমাজ দেশের মেরুদণ্ড। তাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হওয়াটা লজ্জাজনক।”
উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হাসান অপু বলেন, “এখনই সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা বৃদ্ধি করার।”
জামায়াত ইসলামী উপজেলা আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান বলেন, “শিক্ষকদের দাবি পূরণ মানে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি বিনিয়োগ।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা ডা. আবুল কালাম কাজী বলেন, “শিক্ষকদের প্রতি অবিচার সমাজে স্থায়ী প্রভাব ফেলে। সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
অন্যান্য বক্তারা বলেন, এই আন্দোলন কারও বিরুদ্ধে নয়, এটি ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন। চিতলমারী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইদ্রিসুর রহমান বলেন, “আমরা শিক্ষা সেবক, কিন্তু জীবনযাপন কঠিন। সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন।”
সমাবেশে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ স্মারক লিপি প্রদান এবং উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, সমাজসেবক ও সাধারণ মানুষ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
একুশে সংবাদ // র.ন