ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে একজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম সামসুন্নাহার (৪০)। তিনি নারায়ণগঞ্জে কর্মরত একজন পুলিশ উপ-পরিদর্শকের স্ত্রী।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশের সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে বরিশালগামী ইউরো লাইন পরিবহনের একটি বাস পূর্ব সদরদি এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। মুহূর্তেই বাসটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে উল্টে যায় এবং আংশিকভাবে পানিতে তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার পুলিশ ও ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মুয়াজ খান বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান শুরু করেন। একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের জানান, “একজন মৃত ও ১১ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং গুরুতর আহত এক শিশু রাবেয়া (১০)-কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন,“এ ঘটনায় একজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বাসের ভেতরে কেউ আটকা আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে।”
দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে উদ্ধারকাজ শেষ হলে মহাসড়কে পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
একুশে সংবাদ // র.ন