দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের এ সম্মেলন ও নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এবারের সম্মেলনে তৃণমূল তাদের পছন্দের নেতাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করতে চান।
কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন সময় এ সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করায় পদপ্রত্যাশীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা খুবই উজ্জীবিত। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় দায়িত্বরত উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা এ তথ্য নিশ্চত করেছেন।
তিনি বলেন, জেলা যুবলীগের সম্মেলনের আয়োজন করে নতুন সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে অভিষিক্ত নেতাদের নাম ঘোষণা করা হবে। এ জন্য জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই করে ত্যাগী, যোগ্যতাসম্পন্ন, মেধাবী নেতৃত্ব খুঁজে বের করা হচ্ছে।
এর আগে এ্যাডভোকেট আলহাজ্ব রুহুল আমিন দুলালকে আহবায়ক করে ২০১৫ সালে কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ ও কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমিনুর রহমান মুমিনকে যুগ্ম আহবায়ক করেন কেন্দ্রীয় কমিটি।
দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী তাদের পছন্দের নেতাকে কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচারণা। এতে তৃণমূল থেকে বার বার নাম উঠে আসছে কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক ও কর্মীবান্ধব নেতা মোঃ মমিনুর রহমান মুমিনের নাম।
দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের প্রিয়মূখ হিসেবে পরিচিত মোঃ মমিনুর রহমান মুমিন বর্তমান জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবারের সম্মেলনে তৃণমূলের রায়ে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাকে ঘিরেই এখন একাট্টা হচ্ছেন জেলার ৯ উপজেলার নেতাকর্মীরা।
আসছে সম্মেলনে কর্মীবান্ধব এ নেতাকে সাধারন সম্পাদক করার লক্ষ্যে জেলার নেতাকর্মীদের বেশ তৎপরতাও লক্ষ করা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকও সরব রয়েছে তাঁর প্রচারণায়। এ জেলার বেশির ভাগ নেতাকর্মীই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোঃ মমিনুর রহমান মুমিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদায়নের জন্য মতামত ব্যক্ত করছেন।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে সুনামের সাথে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৯ সালে থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৮ শে এপ্রিল থেকে কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এই নেতা। বিএনপির শাসনামলে বিএনপির পার্টি অফিস ভাংচুর ও পোড়ানো তিনটি মামলাসহ পরবর্তীতে শিবিরের অফিস ভাঙ্গা মামলার আসামী ও বিএনপির ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা পিটানোর মামলা হয়। মোট ৬ টি মামলার আসামি করা হয় এই নেতাকে। তারপরও দলের হাল ছাড়েননি এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন তিনি।
কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জেলা যুবলীগের বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মমিনুর রহমান মুমিন। অসহায়কে দিয়েছেন সহায়তা। সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী, পথচারীসহ সব শ্রেণির মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন।
বর্তমানে দলের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। দলের কর্মীদের প্রতি তার ভালোবাসা, আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। তাই আসন্ন কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সম্মেলনে জেলা ও উপজেলার তৃনমুলের সকল নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকেই দেখতে চায়।
এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদকের পদপ্রত্যাশী জেলা যুবলীগের বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মমিনুর রহমান মুমিন বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, সরকারের দুঃসময়ের রাজপথের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলাম। বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতিতে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় সকল কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে আছি।
করোনাসহ বিভিন্ন দূর্যোগের সময় যুবলীগের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছি। যুবলীগকে সুসংগঠিত করতে কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করেছি এখন দল আমার কর্মযজ্ঞকে মূল্যায়িত করে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।
একুশে সংবাদ/সা.আ.হা.রু/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :