ভোরের আলোয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে রাজধানীর কড়াইল বস্তির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতচিহ্ন। সারারাত আগুনের সঙ্গে লড়ে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো সকালে ফিরে দেখেছেন—ঘর-বসত, স্বপ্ন, সঞ্চয়—সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অসংখ্য পরিবার।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অনেকে খুঁজে ফিরছেন সামান্য অবশিষ্ট জিনিসপত্র। কেউ খোলা মাঠে পরিবার নিয়ে রাত কাটিয়েছেন, কেউবা পুড়ে যাওয়া ঘরের পাশে বসে হাহাকার করছেন ভবিষ্যৎ নিয়ে।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কিছু সহায়তা মিললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তাদের ভাষায়, “চারদিকে শুধু কংক্রিট ছাড়া আর কিছুই নেই—সবকিছুই পুড়ে শেষ।” বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তা তাদের আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, ঘিঞ্জি এলাকা ও তীব্র পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে ১৯টি ইউনিট এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে বস্তির তেজগাঁও অংশে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস বা স্থানীয় কমিটি।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

