রাজধানীর বাজারে সবজি ও মুরগির দাম কমেছে। তবে চড়া রয়েছে মাছের দাম। শুক্রবার (২৩ মে) সকালে রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও তালতলা ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। মুদি পণ্যের দামেও খুব একটা পরিবর্তন নেই।
সবজির সরবরাহ বেশি, কমেছে দাম
বাজারে পটোল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা ও কাঁকরোলসহ বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৪০–৫০ টাকা কেজি দরে। বরবটি, কচুর লতি, বেগুন, ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৫০–৬০ টাকায়।
সবজি বিক্রেতা আহাদুজ্জামান বলেন, “বন্যার আশঙ্কায় কৃষকরা আগেভাগেই ক্ষেতের সবজি তুলছেন। সরবরাহ বেশি থাকায় দাম ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।”
মুরগিতে দীর্ঘদিন পর বড় ছাড়
ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০–১৬০ টাকা কেজিতে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা কম। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০–২৮০ টাকায়।
বিক্রেতা বজলু মিয়া জানান, “এতো কম দামে মুরগি বহুদিন পর বিক্রি হচ্ছে। খামারিরা এখন লোকসানে আছেন।”
ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা
এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০–১৪৫ টাকায়, গত সপ্তাহের মতোই। পাইকারি বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, “বর্ষা মৌসুমেও এবার ডিমের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল।”
মিনিকেট চাল কমেছে, পুরোনো দামে পরিবর্তন নেই
নতুন মিনিকেট চালের ২৫ কেজির বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়, যা আগে ছিল ২২০০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে নতুন চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে, যেখানে পুরোনো চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২–৮৬ টাকায়।
মাছের বাজারে চড়া
চাষের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০–৮০০ টাকায়, নদীর চিংড়ি ১০০০–১২০০ টাকায়। এ ছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, পুঁটি এবং চাষের রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ও পাঙাশের দাম ২০–৫০ টাকা বেড়েছে।
চাষের রুই, কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩২০–৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০–২৪০ টাকা ও পাঙাশ ২০০–২৫০ টাকায়।
অন্যান্য মুদি পণ্য
তেল, চিনি, ডালের বাজারে তেমন হেরফের নেই। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পণ্যের সরবরাহ ও মৌসুম বিবেচনায় বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে