ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাস সংলগ্ন জিবলু ছাত্রাবাসে সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রকে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগে এ তথ্য জানা যায়।
এতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন আল কোরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদ হাসান রাজু এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন আইন বিভাগের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র সূত্রে, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১১ টায় সাইফুলকে (ভুক্তভোগী) রাজুর (অভিযুক্ত) রুমে ডাকা হয় কিন্তু সাইফুল পাঁচ মিনিট লেট করে গেলে দরজা আটকে দেওয়া হয় পাশাপাশি ভুক্তভোগীর ওপরে চড়াও হয়ে একপর্যায়ে চড় মারে এবং মারধর করার জন্য ক্রিকেট খেলার স্টাম্প খোঁজা হয়। কিন্তু রাজুর (অভিযুক্তর) রুমমেট রিফাত নামের শিক্ষার্থী বাঁধা দেয়। এঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী সাইফুল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
এসময় ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাকে রাজু ভাই তার রুমে ডাকে কিন্তু পাঁচ মিনিট দেরি হওয়ায় ভাই দরজা আটকে আমাকে কানে চড় মারে। আমি ভয় পেয়ে যাই। পরে সে আমাকে মারার জন্য ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প খুঁজছিলো। তার রুমমেট না থাকলে আরও বড় কিছু হতে পারতো। আমি এসবের সুষ্ঠু বিচার চাই এবং ক্যাম্পাসে নিরাপদভাবে চলাফেরা করতে চাই।
অভিযুক্ত মাহমুদ হাসান রাজু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তার গায়ে হাত দেয়নি। সে রুমে মেয়েদের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলে, পাশের রুম হওয়ায় ডিস্টার্ব হয়। এছাড়া সে জুনিয়রদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এসব কারণে মেসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিলো যার কারণে আমি তাকে রুমে ডেকেছি। কিন্তু কোনো মারামারি বা হাতাহাতি হয়নি। অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট।
এসময় তিনি কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত কি-না জানতে চাইলে বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত নন।
এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

