পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের সমস্যার তালিকায় খাবারের মান অন্যতম বড় ভোগান্তি। সপ্তাহজুড়ে মানহীন ও স্বাদহীন খাবার খেয়ে দিন কাটালেও শুক্রবার যেন তাদের জন্য ফিরে আসে খানিকটা স্বস্তি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসসংলগ্ন বেশিরভাগ খাবারের দোকানের খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তুষ্ট। নানা সময় এসব অভিযোগ উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। শিক্ষার্থীদের খাবারের নির্ভরতা মূলত ক্যাফেটেরিয়া, আবাসিক হলের ডাইনিং এবং আশপাশের দোকানগুলোকেই কেন্দ্র করে।
সপ্তাহজুড়ে একই ধরনের নিম্নমানের খাবারে ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের শুক্রবার এলেই যেন বদলে যায় চিত্র। আবাসিক হলের ডাইনিং ও ক্যাম্পাসসংলগ্ন দোকানগুলো শিক্ষার্থীদের ক্লান্তি দূর করতে বিশেষ আয়োজন করে। হলের ডাইনিংয়ে থাকে রোস্ট, লেগ পিস, গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, বিরিয়ানি, এমনকি খাবারের শেষে পায়েসও। দোকানগুলোরও আলাদা আলাদা আয়োজন থাকে। বিশেষ করে ‘নানার হোটেল’-এ দেখা যায় বাড়তি ব্যস্ততা, কারণ মালিক জানেন—জুমার নামাজ শেষে তাঁর দোকানে ভিড় জমবে শিক্ষার্থীদের।
সপ্তাহজুড়ে ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট ও পরীক্ষার চাপে নুয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য শুক্রবারই হয়ে ওঠে একটু স্বস্তির দিন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত বলেন, “একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার যেন নিত্যদিনের সহচর। সারা সপ্তাহ স্বাদহীন খাবার খেয়ে আমরা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা ভিন্নতার খোঁজ করি। সেই ভিন্নতায় নতুন মাত্রা যোগ করে শুক্রবারের হল ফেস্ট আর ক্যাম্পাসসংলগ্ন দোকানগুলো। এতে অন্তত কিছুটা ভালো স্বাদের খাবার পাওয়া যায়।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

