শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা নথিবদ্ধকরণ এবং তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা `সোচ্চার টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ` এর শাখা `সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টার` কর্তৃক `মানবাধিকার ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট` শীর্ষক এ সেমিনারটি আয়োজন করেন।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের দ্বিতীয় তলায় (২১২ ও ২১৩) নম্বর কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের ঘটনাবলির মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বাস্তবতা, তথ্য, বিশ্লেষণ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদনে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল পাঁচটি বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। তা হলো জবাবদিহি ও বিচার বিভাগ নিশ্চিত করা, পুলিশ ও নিরাপত্তা বিভাগের অসামরিকীকরণ, নাগরিক পরিসর বৃদ্ধি, রাজনৈতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সুশাসন নিশ্চিত করা। যার ভিত্তিতে বাংলাদেশের চলমান সরকার মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারবে বলে মনে করছে জাতিসংঘ।
সেমিনারে সোচ্চার স্টুডেন্ট’স নেটওয়ার্ক ইবি শাখার সভাপতি রাহাত আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর, আল কুরআন বিভাগের সভাপতি নাছির উদ্দিন মিঝি ও অধ্যাপক ড. এবিএম জাকির হোসেন, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সহকারী প্রক্টর ও সোচ্চারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
সেমিনারে অতিথি হিসেবে ছিলেন, জাতিসংঘের গর্ভনেন্স বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র মানবাধিকার কর্মকর্তা জাহিদ হোসাইন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাইখ মাহদি, সোচ্চার প্রজেক্ট ম্যানেজার ও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সুমাইয়া তামান্না, সহকারী পরিচালক সুমাইয়া তাসনিম।
জাতিসংঘের বাংলাদেশের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান বলেন, জাতিসংঘ সারাবিশ্বে শান্তি, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবাধিকার লংঘন হওয়া ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করেছে। এর ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এই রিপোর্টের মাধ্যমে বিগত স্বৈরশাসনের মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে তুলে ধরেছে। সমস্যাগুলো আমাদের আরও গভীরভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে। এটি আমাদের সচেতনতার অংশ। এই রিপোর্ট উপস্থাপনের ফলে আমাদের কাজ এটি অধ্যয়ন করে নিজেদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

