বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেছেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই নেই। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদেরকে এটেনডেন্স ও মার্কসের ভয় দেখিয়ে ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজ করানোর চেষ্টা করছে। প্রশাসনের কাছে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আরও স্ট্রেট হোন। যেহেতু আপনার দায়িত্ব কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি নয়, আপনার দায়িত্ব আমার শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখুন।”
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জুলাইবিরোধী শক্তির আস্ফালনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন একটি তালিকা করেছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসে নি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদের নামও নেই। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সকলকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
দুপুর দেড়টায় ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন। মিছিলে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দেন, যেমন:“আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন”,“লেগেছে রে লেগেছে; রক্তে আগুন লেগেছে, দিয়েছি তো রক্ত; আরো দিবো রক্ত”, “আবু সাঈদ মুগ্ধ; শেষ হয়নি যুদ্ধ, একটা একটা লীগ ধর; ধইরা ধইরা জেলে ভর”।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা তৌহিদ শিবিরসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে অভ্যুত্থানবিরোধী বহিষ্কৃত দুই শিক্ষকের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে পৃথকভাবে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচআরএম ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

