জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং অর্গানাইজেশন(জেইউডিও) কতৃক “শব্দ হোক প্রতিরোধের পতাকা”-এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রথমবারের মত বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হলো নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালা-২০২৫।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে বিতর্ক কর্মাশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনবরণের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের নবীন ব্যাচ-৫৪ তম আবর্তনকে কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠনটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বপ্রথম উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয়। এই বিতর্ক কর্মশালায় রেজিস্ট্রেশন করে ৫৪ তম আবর্তনের প্রায় ১২শ শিক্ষার্থী এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। ব্যাপক পরিসরে প্রথমবারের মত জেইউডিও বিতর্ক কর্মশালা ও নবীনবরণ আয়োজন করায় নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালাটি অনেক বেশী তাৎপর্যমন্ডিত হয়েছে।
বিতর্ক কর্মশালার আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবে আইনজীবী মানজুর আল মতিন এবং উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী মৌসুমী মৌ উপস্থিত ছিলেন। আমন্ত্রিত প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেইউডিও’র সাবেক সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান। কর্মশালার প্রশিক্ষক কর্মশালার মাধ্যমে তিনি ৫৪ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের বিতর্ক কী, বিতর্ক কেন প্রয়োজন, বিতর্কের কিছু সাধারণ বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেন।
উক্ত বিতর্ক কর্মশালায় আমন্ত্রিত আলোচক মানজুর আল মতিন বলেন, “বিতর্ক একটি বাহ্যিক গুণ ও অন্যতম ভালো গুণ। যা মানুষের ব্যক্তিত্ব, চিন্তা-ভাবনা বিকাশে অবদান রাখে। কাজেই, জেইউডিও’র মাধ্যমে যারা প্রথম বর্ষ থেকেই বিতর্কের ধারায় সংযুক্ত করছো, তাদের সবাইকে শুভকামনা জানাই ।”
আলোচনা পর্ব শেষ হবার পরের পর্বে নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালায় "জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের শিক্ষাঙ্গন “ বিষয় শীর্ষক আয়োজিত হয় একটি ছাত্র-শিক্ষক বিতর্ক এবং অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নবীনদের জন্য আয়োজিত হয় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা তাদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ, উৎসাহ, উদ্দীপনার সৃষ্টি করে ।
অনুষ্ঠান শেষে নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালার আহ্বায়কের বক্তব্যে নাজমুল ওয়ারা তালহা বলেন, " আজ থেকে ঠিক দু বছর আগে একসময় আপনাদের জায়গায় আমি বসে নবীনবরণ নিয়েছিলাম। ঠিক এখানেই জেইউডিও এবং বিতর্কের স্বার্থকতা যে তারা আমাকে প্রথম বর্ষ থেকেই আমার নেতৃত্বদান এর সুপ্ত প্রতিভাটিকে বিকশিত করেছে । একদিন আমার জায়গায় আপনারা এখানে এসে আপনাদের অনুজদের নবীনবরণ দিবেন। "
আহ্বায়কের বক্তব্য শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে উপহারস্বরূপ গাছ ও শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানটির আহ্বায়ক নাজমুল ওয়ারা তালহা ও জেইউডিও`র সভাপতি মির্জা সাকি । এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ক্যাম্পাসের নবীনতম ব্যাচ- ৫৪ তম আবর্তনকে জেইউডিও`র পক্ষ থেকে উপহারস্বরূপ ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সমাপনীতে জেইউডিও`র সভাপতি মির্জা সাকি তিনি বলেন- " ফুল যেমন ভালোবাসা, শোক, বিদ্রোহ - সব কিছুরই প্রতিনিধিত্ব করে, এদিক থেকে নবীনরা নতুন বাংলাদেশের পথচলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।”
তিনি অনুষ্ঠানে ৫৪ তম আবর্তনের সকল শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত অতিথিসহ উপস্থিত সবাইকে আসার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

