ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (আন্ডারগ্র্যাজুয়েট) পর্যায়ে ভর্তি আবেদনের কার্যক্রম আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে , যা চলবে আগামী ১৬ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হবে ২৪ নভেম্বর থেকে। ২৮ নভেম্বর আইবিএ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে ২০ ডিসেম্বর শেষ হবে।
সর্বশেষ সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী— কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ডিসেম্বর; বিজ্ঞান ইউনিটের ২০ ডিসেম্বর; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ৬ ডিসেম্বর; চারুকলা ইউনিটের (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) ২৯ নভেম্বর এবং আইবিএ ইউনিটের ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
আইবিএ ছাড়া সব ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে। আইবিএ ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হবে।
চারুকলা ও আইবিএ ছাড়া অন্যান্য তিনটি ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকা ছাড়াও দেশের সাত বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে— রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ ৬০ নম্বর ও লিখিত ৪০ নম্বরের হবে। চারুকলা ইউনিটে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হবে। মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে ১০০ নম্বর পরীক্ষায় এবং বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে গণনা করা হবে।
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫; ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০; ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।
অনলাইনে ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের জন্য আবেদনকারীর করণীয়:
যেকোন ইউনিটে ভর্তির আবেদন https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েব সাইট থেকে করা যাবে। ভর্তির আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিকের তথ্য, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, পিতা/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (ঐচ্ছিক), শিক্ষার্থী যে বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আগ্রহী, কোটা এবং স্ক্যান করা একটি ছবির প্রয়োজন পড়বে। ভর্তির আবেদন ফি তাৎক্ষনিক অনলাইনে বা চারটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে (সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জমা প্রদান করা যাবে। আবেদন ফি অফেরৎযোগ্য। আবেদন ও ফি জমার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উক্ত ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে।
এ-লেভেল/ও-লেভেল/সমমান বিদেশী পাঠক্রমে বা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সমতা নিরূপনের জন্য https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েব সাইটে গিয়ে "সমমান আবেদন" বা "Equivalence Application" মেনুতে আবেদন করে তাৎক্ষনিকভাবে অনলাইনে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। সমতা নিরূপনের পর প্রাপ্ত "Equivalence ID" ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মত তারা একই ওয়েবসাইটে লগইন করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

