জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) পরবর্তী সময়ে নেতৃত্ব সংকট দেখা দিয়েছে। জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত এজিএমে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হাসানাত রুবেল।
তবে উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানে যাওয়ায় ড. রুবেল সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ফলে নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আরেক প্রার্থী মোর্শেদের নাম ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
অ্যালামনাইদের একটি অংশ অভিযোগ করেছে, সাবেক সভাপতি ড. মমিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. কুন্ডুর ঘনিষ্ঠ মহল অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন,“সাবেক সভাপতি ড. মমিন ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে নিজেকে যেন আর না ডাকা হয় বলে পোস্ট দিলেও এখন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এজিএমে দায়িত্ব হস্তান্তরের পরও গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন দিয়ে পূর্বের কমিটি বহাল রাখার দাবি করেছে। তারা স্বৈরাচারী আচরণ করে এলামনাইদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনের সময় ড. কুন্ডু বিতর্কিত মন্তব্য করে অবাঞ্ছিত হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। “তারা এবং তাদের ঘনিষ্ঠরা চাইছে না অ্যাসোসিয়েশনটি গতিশীলভাবে এগিয়ে যাক,” যোগ করেন তিনি।
এ পরিস্থিতিতে অ্যালামনাইদের দাবি, দ্রুত নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে অচলাবস্থা নিরসন করা হোক। তারা আশা প্রকাশ করেছেন ড. নজরুল ও মোর্শেদের নেতৃত্বে অ্যাসোসিয়েশন স্বৈরাচারী দোসরদের বাধা অতিক্রম করে নতুন দিগন্তে এগিয়ে যাবে।
অ্যালামনাইদের মতে, বিভাগের বর্তমান ও পরবর্তী চেয়ারম্যানকেও তারা ষড়যন্ত্রের কাছে জিম্মি মনে করছেন। ফলে দ্রুত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা না হলে অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে