চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন লন্ডনি বিল্ডিং এলাকা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দিক থেকে আক্রমণের মুখে পড়েন। এতে প্রক্টরসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে স্থানীয়দের বাড়িঘরের দিকে পাথর ছুঁড়তে দেখা গেছে। উভয় পক্ষই ইটপাটকেল এবং লাঠিসোটা ব্যবহার করলে এলাকা একপ্রকার যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নেন।
এর আগে, শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী তার ফ্ল্যাটে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় বাসার দারোয়ানের মারধরের শিকার হন। আশেপাশের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি দেখার পর দারোয়ান পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন, যা শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত করে।
ঘটনার পর মসজিদের মাইকে স্থানীয়রা চবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘোষণা দেন। রোববার দিবাগত রাত থেকে ২ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মারাত্মক আহত হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
সংঘর্ষের পর থেকে পুরো ক্যাম্পাসে শান্তি বিরাজ করছে না। আহতদের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রোববারের সব পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একুশে সংবাদ/ ই.ফ/এ.জে