ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের দিন তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে এবং সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত সভায় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. জসীম উদ্দিন বলেন, প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর সচেতন অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই এই নির্বাচন সফল হবে। জাতি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গোটা দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে মাইলফলক হয়ে উঠবে।
তবে প্রার্থীদের অভিযোগ, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়গুলো কমিশন আমলে নিচ্ছে না। ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ৪০ হাজার ভোটারের জন্য মাত্র ৮টি কেন্দ্র যথেষ্ট নয়; কেন্দ্র বাড়ানো জরুরি।
ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণা চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকছে:
প্রথম স্তরে শিক্ষক, প্রক্টোরিয়াল টিম ও ডিএনসিসির ২০০ সদস্য ৮টি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন।
দ্বিতীয় স্তরে মোতায়েন থাকবে পুলিশ সদস্যরা।
তৃতীয় স্তরে সেনা সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন, যারা প্রয়োজনে পাঁচ মিনিটের মধ্যে যে কোনো কেন্দ্রে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন এবং ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের সাত দিন আগে থেকে আবাসিক হলে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে এবং শুধুমাত্র বৈধ পরিচয়পত্রধারী শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন।
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে