জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তি প্রদান, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জকসু) নীতিমালা অনুমোদন এবং সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মিলে দুপুর ১২ টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
গত ৩০ জুলাই শিক্ষার্থীরা জকসুর রোড ম্যাপ এবং সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে ২ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে আল্টিমেটাম শেষ হলেও কোন স্পষ্ট বার্তা না আসার কারণে আজ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান করেছে।
অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জবি শাখার সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “আমরা ২ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করছি আশা করি প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে নিবে। যদি তারা তালবাহানা করে তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে যেতে বাধ্য হবো।”
আপ বাংলাদেশ জবি শাখার সংগঠক তাওহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা বার বার আন্দোলন করি আর আমাদের প্রশাসন আমাদেরকে বার বার আশ্বাস দেয়। এবার আর আশ্বাস নয়, এবার আমরা আমাদের সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু আদায় করেই উঠব ইনশাআল্লাহ। আর যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে তারা চলে যাক।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আজ আমরা সম্পূরক বৃত্তি ও জকসুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমরা বছরের পর বছর প্রশাসনের উদাসীনতা আর মন্ত্রণালয়ের জটিল প্রক্রিয়ার শিকার হয়েছি। বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার এটা দয়া নয়। আর জকসু নির্বাচন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার। অথচ এ দুই ক্ষেত্রেই চরম টালবাহানা চলছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে কোনো কর্তৃপক্ষ টিকে থাকতে পারবে না। জবিয়ানদের আন্দোলন বরাবরের মতো এবারও অধিকার আদায়ে শেষ বিজয় ছিনিয়ে আনবে।”
জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর খান বলেন, “শিক্ষার্থীদের হিসাবে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত জাতি আমরা জবিয়ানরা। বারবার জবি প্রশাসন আমাদের অধিকার নিয়ে তামাশা করতেছে। শিক্ষার্থীর অধিকার আদায়ে আমরা জবিয়ান এইবার ঐক্যবদ্ধ। ঠিক কবে থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা সম্পূরক বৃত্তি পাবে এবং আমরা জকসু নিবার্চনের রোডম্যাপ চাচ্ছি। এইবার দাবি আদায় করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।”
একুশে সংবাদ/এ.জে