পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ধর্মীয় মর্যাদা, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং উৎসবমুখর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। ভক্তবৃন্দের ভক্তি-উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
দিনটি উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দির থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। রঙিন ব্যানার, শঙ্খধ্বনি, মঙ্গলসঙ্গীত আর শ্রীকৃষ্ণের জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে শোভাযাত্রা। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মন্দিরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সুজন কান্তি মালি এবং সদস্য সচিব রবীন চন্দ্র শীল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোপাল সাহা, অধ্যাপক ড. অনুপ কুমার মন্ডলসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং অসংখ্য ভক্তবৃন্দ।
শোভাযাত্রা শেষে কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় অভিষেক, পূজা-অর্চনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভক্তদের আরতি, ভজন ও কীর্তনে চারপাশ হয়ে ওঠে আধ্যাত্মিক আবহে পূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ ভক্তরা সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে মঙ্ঘল ঘট স্থাপন, অধিবাস, শ্রীকৃষ্ণ পূজা, র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. অসিত কুমার, প্রফেসর ড. দিব্যেন্দু বিশ্বাস, প্রফেসর ড. প্রভীর কুমার মিত্র, প্রফেসর ড. প্রদীপ কুমার সরকার ও প্রভাষক ডা. শম্পা রানী সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠান সম্পর্কে সহযোগী অধ্যাপক সুজন কান্তি মালি বলেন,“বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে জন্মাষ্টমী উদ্যাপন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নতুন বাংলাদেশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাই।”
ভক্তদের অনেকেই জানান, নতুন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জন্মাষ্টমীর মতো ধর্মীয় উৎসব উদ্যাপন করতে পারা সত্যিই আনন্দের। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকতা শেষে উপস্থিত সবার মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে