সোমবারের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও আগস্টের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করা সহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-ফিকহ্ এন্ড ল বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১০ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা বিভাগের শিক্ষকদের খামখেয়ালি নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এছাড়া তারা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন। এসময় তারা ‘এক্সাম এক্সাম, এক্সাম চাই, ৪.২ এর এক্সাম চাই’, ‘ডেটের নামে প্রহসন, মানিনা, মানবনা’, ‘দাবি মোদের একটাই, সেশনজট মুক্তি চাই’, ‘ধৈর্য ধরার স্বান্তনা, আর না আর না’, ‘মিষ্টি কথায় মিটবেনা, ১৯-২০ এর যন্ত্রণা’ ও ‘পদত্যাগের ভয় দেখিয়ে, ডেট পেছানো যাবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জানা যায়, ইবির ৩৬টি বিভাগের মধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বেশিরভাগেরই অনার্স সম্পন্ন হলেও আল-ফিকহ্ এন্ড ল বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট এখনও হয়নি। গত ২১ মে চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়ে ৭ জুলাই পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার একমাস পেরোলেও বিভাগের শিক্ষকরা ফলাফল প্রকাশে টালবাহানা করছেন। এদিকে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা গত ২৮ জুন হওয়ার কথা থাকলেও তা নিতে ব্যর্থ হয় বিভাগটি। পরে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় এ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করলেও কার্যত কোনো ফল পায়নি। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার তারা তিন দফা দাবিতে বিভাগের সামনে অবস্থান নেয়। পরে দুপুর ১টায় বিভাগের অফিস রুম ও সামনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর ২টায় আন্দোলন চলমান রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগের শিক্ষকদের অবহেলার কারণে তাদের সেশনজট কোনোভাবেই কাটছে না। শিক্ষকদের কাছে বারবার ধর্না দিয়েও কোনো ধরনের সুফল মেলেনি। তারা বারবার বিভিন্ন অযুহাতে পরীক্ষা নিতে এবং ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা করে।
তারা বলেন, একমাসের বেশি সময় আগে আমাদের পরীক্ষা শেষ হলেও এখনও আমরা রেজাল্ট পাইনি। শিক্ষকরা আমাদেরকে গত সপ্তাহে রেজাল্ট দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও রেজাল্ট দিতে পারেনি। আমরা অতিদ্রুত চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট এবং আগস্টের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা বাস্তবায়ন চাই।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, রেজাল্টের জন্য আমরা কাজ করছি। বাকি দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করতে আমরা জরুরি মিটিং ডেকেছি।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

