AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে মাভাবিপ্রবিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত


Ekushey Sangbad
মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
০৪:৪৮ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২৫

জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে মাভাবিপ্রবিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

টাংগাইলে ‎মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) "জুলাই শহিদ দিবস" উপলক্ষে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (১৬ জুলাই ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

‎আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। বক্তব্যে তিনি বলেন , "আমরা আজ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সেইসব শহীদদের, যারা এক অন্যায়-অবিচার আর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। তাঁদের আত্মত্যাগ আজও আমাদের জাতীয় বিবেককে নাড়া দেয়, আমাদের দায়িত্বশীলতা স্মরণ করিয়ে দেয়। ‎শিক্ষাঙ্গন সবসময়ই ছিল প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আর মুক্ত চিন্তার উৎসভূমি। আমাদের তরুণরাই বারবার প্রমাণ করেছে, অন্যায়ের কাছে মাথা নত নয় — বরং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার হওয়াই তাদের চেতনা। ‎২০২৪ সালের সেই আন্দোলনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল, যা আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের অংশ। আমরা তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।" 

 মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, " শিক্ষাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছিল বিগত সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে জোর করে মিছিলে নিয়ে যেতো। সারারাত গেস্ট রুমে দাঁড় করিয়ে রাখতো। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পরিবেশ আমাদের দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় না এবং পরিবেশও নেই। শিক্ষার বাজেট কমিয়ে দিলেও কোন ছাত্র, শিক্ষক ও ভাইস-চ্যান্সেলর কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। কারণ হলো সরকার তাদের পছন্দের ভিসি ও প্রো-ভিসি নিয়োগ দেন এবং তাদের মাধ্যমে তাদের পছন্দের ব্যক্তিকেই শিক্ষ নিয়োগ দেন। তাদের যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়া হয় না। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শ বাস্তবায়ন হবে তখনই হবে যখন দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। স্বপ্নবাজ শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে তাহলেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের উদ্দ্যেশ্য বাস্তবায়ন হবে।"

‎অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জুলাই শহিদ দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার জাহান মলয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহিদ মারুফের মা, যিনি শহিদ পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর সন্তানের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, "আমার সন্তান যে উদ্দেশ্যে প্রাণ দিয়েছে সে উদ্দেশ্য যেন বাস্তবায়ন হয় সরকারের নিকট আমি সেই দাবি জানাচ্ছি।"

এছাড়া বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মতিউর রহমান,  বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে.এম. মহিউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ  ইমাম হোসেন। ‎আন্দোলনকারি ও আহত  শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মনিরুল ইসলাম ও  আশরাফুল আলম হৃদয়। আলোচনা শেষে শহীদের মায়ের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।

‎আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আলোচনা সভার মূল উদ্দেশ্য হলো  জুলাইয়ের শহিদদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা এবং নতুন প্রজন্মের সামনে তাঁদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে পারে।

‎আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।


একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্যাম্পাস

Link copied!