বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রণয়নের লক্ষ্যে আসন্ন নির্বাচনে জেলার নেতৃবৃন্দকে ভোটাধিকারের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কাফেটেরিয়ায় সংগঠনটির খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
এসময় তাদের জানানো তিন দফা দাবি হলো— জেলার নেতৃবৃন্দকে প্রার্থীতার পাশাপাশি ভোটাধিকারের সুযোগ দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন নতুন করে গঠন করতে হবে, কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নির্বাচন কমিশনার হতে পারবে না। এছাড়া কেন্দ্রীয় যেসকল সমন্বয়ক কোন রাজনৈতিক দলে নেই তাদেরকে প্রার্থীতা ও ভোটাধিকারের সুযোগ দিতে হবে।
এসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট, যশোর জেলার আহ্বায়ক রাশেদ খান, মাগুরার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সেলিম হোসেন, ঝিনাইদহের আহ্বায়ক আবু হুরাইরা, নড়াইলের আহ্বায়ক আব্দর রহমান মেহেদী ও কুষ্টিয়ার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ অভিভাবকহীন এবং সুবিধাবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে কুক্ষিগত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বীজ যে সাহসী নির্ভীক তরুন ছাত্র নেতারা বুনেছিলো সেই ছাত্র নেতারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং সাংগঠনিক রুপরেখা না দিয়েই এই সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। পরবর্তীতে অভিভাবকহীন এই সংগঠনের সুবিধাবাদী-স্বার্থান্বেষী একশ্রেণীর নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে কলঙ্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে এই অরাজনৈতিক ব্যানারকে।
এছাড়া তারা অভিযোগ করেন, জেলা আহ্বায়ক কমিটি থেকে উক্ত নির্বাচনে প্রার্থীতার সুযোগ রাখলেও ভোটাধিকারের কোন সুযোগ রাখেনি। যা ঐক্যমতের ভিত্তিতে সাংগঠনিক নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য। এছাড়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শুরুতে তৎকালীন ১৫৮ জন সমন্বয়ক এর মধ্যে যারা এখনো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকেও প্রার্থিতা ও ভোটাধিকারের সুযোগ রাখেনি। তাই তারা সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহযোদ্ধাদের পরামর্শে এই প্লাটফর্মকে অরাজনৈতিক ও লেজুড়বৃত্তিকহীন ছাত্র সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকলকে আহ্বান জানায়।
একুশে সংবাদ/ ইবি.প্র/এ.জে