মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নে ও সৃজিত নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (০৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে এফএমবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের ফিশারিজ সেক্টর এগিয়ে নিতে ২০১৫ সালে ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের জন্য ৩৯৫টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল অথচ গত ১০ বছরে আমরা এর বাস্তবায়ন দেখছি না। এর ফলে একদিকে যেমন ফিশারিজ সেক্টরের সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে না তেমনি ফিশারিজ গ্রাজুয়েটরা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী এই সেক্টরে অবদান রাখতে পারছেন না। আমরা খুব দ্রুত এই ৩৯৫ পদের অর্গানোগ্রাম চাই। আমাদের দাবি নতুন পদ তৈরি করা নয় বরং ২০১৫ সালে সৃজনকৃত পদের অর্গানোগ্রাম চাই। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে লং মার্চ পালন করব।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, বাসের ড্রাইভার দিয়ে যেমন যুদ্ধ বিমান চালানো সম্ভব না ঠিক তেমনি ডিপ্লোমা কিংবা জুওলজি অথবা অন্য ডিপার্টমেন্টে স্টুডেন্ট দ্বারা ফিশারিজ সেক্টরে উন্নয়ন করা সম্ভব না। বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে বিপুলপরিমাণ অর্থ আয় হয় মৎস্যসম্পদ থেকে। মৎস্যসম্পদ অধিদপ্তরের উন্নয়নের জন্য ফিশারিজ শিক্ষার্থীদের কন্ট্রিবিউশন অবশ্যই প্রয়োজন। আমরা চাই আমাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করতে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের এপ্রিলে উপ-সচিব সফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রস্তাবনায় বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে ৩৯৫টি নতুন পদসহ মোট ৬৩৭টি পদ সৃজনের কথা বলা হয়। প্রস্তাবনায় পদগুলোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের সম্মতি গ্রহণ, বেতন স্কেল নির্ধারণ, র্যয় মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেট থেকে মেটানোর কথা বলা হয়। শর্ত হিসেবে ক্যাডার রুলস সংশোধন, নিয়োগবিধি হালনাগাদ এবং ধাপে ধাপে তিন বছরে নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে ১০ বছরেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজের শিক্ষার্থীরা অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/যবিপ্রবি.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :