সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি)ছাত্রীদের হলে প্রতিনিয়ত বানরের আক্রমণে আতঙ্ক ও আহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।ছয় মাস ধরে অভিযোগ জানানোর পরও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
রবিবার(২০ জুলাই) সকালে দুররে সামাদ রহমান হলের কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বানরের আক্রমণে আহত হন। তিনি বলেন,"আমি সকালে ২য় তলায় যাওয়ার জন্য সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলাম। তখন দেখি ডাইনিংয়ে একটা বানর। চশমা পরা ছিল না, তাই স্পষ্ট দেখতে পারিনি। ভাবলাম, বানরটা আমাকে দেখেনি, তাই চুপচাপ দৌড়ে ওপরে চলে যাচ্ছিলাম।
কিন্তু গনরুমের সামনে আসতেই হঠাৎ পিছন থেকে লাফ দিয়ে বানরটা আমার কাঁধে উঠে পড়ে এবং হাত দিয়ে আঁচড় দেয়। আঁচড়ে আমার হাতে গভীর ক্ষত হয়েছে। এতে আমি সঙ্গে সঙ্গে নিচে পড়ে যাই। যেখানে পড়েছি, সেখানে কাঁচের টুকরো ছিল, আর পড়ে যাওয়ার ফলে হাতে প্রচন্ড ব্যাথা পাই।"
শিক্ষার্থীরা বলছেন, “আমরা ন্যূনতম নিরাপত্তাও পাচ্ছি না। প্রতিবার বলা হয় সমাধানের চেষ্টা চলছে, কিন্তু বানর ও সাপের আতঙ্কে আমরা স্বাভাবিকভাবে রুমে থাকতে পারছি না। বাথরুমে যাওয়া পর্যন্ত ভয় নিয়ে যেতে হয়।
তারা অভিযোগ করে বলেন, বানর সমস্যার জন্য গাছপালা কাটার দোষারোপ শোনা যায়, কিন্তু এর সমাধান বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার জন্য শিক্ষার্থীদেরকেই ব্যক্তিগতভাবে ব্যবস্থা করতে হয়।"
শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা সমাধানের জবাবে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার জানান, “বন বিভাগের বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক হবে। আশা করছি দ্রুত একটি কার্যকর সমাধান হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে