পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) চলতি বছরের ৫ জুন ১৬ বছর পূর্ণ করে ১৭ বছরে পদার্পণ করেছে। ১৭ বছরেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক বিকাশের জন্য দেখা মেলেনি কোনো জিমনেসিয়ামের।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থী, একশত ৯৯ জন শিক্ষক এবং শতাধিক কর্মকর্তা- কর্মচারি রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয় জিমনেসিয়াম বা ইনডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের অভাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রয়েছে দুটি খেলার মাঠ, একটি ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠ,তবে নেই কোনো ইনডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এবং জিমনেশিয়াম।
বিশ্ববিদ্যালয়ে জিমনেসিয়ামের অভাবে শহরের জিমনেসিয়ামগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তবে সেটা সাশ্রয়ী না হওয়াতেও চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা ভালো করতে পারছেন না, যার অন্যতম কারণ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অভাব।
ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো জিমনেসিয়াম না থাকায় আমি বর্তমানে শহরে গিয়ে জিম করছি। শহরে যাওয়াতে আমার আর্থিক এবং সময় দুই দিক দিয়েই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমার সব মিলিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা সময় ব্যায় হচ্ছে। ক্যাম্পাসে যদি জিমনেসিয়াম থাকতো তাহলে আমার অতিরিক্ত সময় সাশ্রয় হতো, যেটা আমি একাডেমিক পড়াশোনায় ব্যায় করতে পারতাম।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে দুটি হল রয়েছে, নতুন দুটি হল চালু হলে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণা হবে। এতো শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্বাস্থ্যের প্রতি প্রসাশনের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। যদি প্রসাশন একটি জিমনেসিয়ামের ব্যবস্থা করেন তাহলে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্বাস্থও ভালো থাকতো।
এ বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক মোঃ এনামুল হক বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য জিমনেশিয়ান থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো সংকটের কারণে এতোবছরেও সেটি সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের উপাচার্য খেলাধুলা বিষয়ে খুবই আন্তরিক। উচ্চ মহলে কারো সাথে আমার এই বিষয়টি নিয়ে এখনও কথা হয়নি, আমি খুব দ্রুতই উপাচার্য বরাবর এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। নতুন যেসব অবকাঠামোগুলো হয়েছে সেখানে কোন রুম দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়েও আমরা শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের সবাই পরামর্শ করে উপাচার্য বরাবর তুলে ধরবো।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :