AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

হাকালুকি হাওর পর্যটনের অপার সম্ভাবনা


Ekushey Sangbad
জহিরুল ইসলাম সরকার, জুড়ী, মৌলভীবাজার
০৭:৩৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
হাকালুকি হাওর পর্যটনের অপার সম্ভাবনা

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকি। হাকালুকি হাওরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে শীত বর্ষা মৌসুমে বাড়ে পর্যটকের সংখ্যা। হাওরের এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকের মন ভরে যায় এই দৃশ্য দেখে। তবে হাওরকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসলে যেমনি বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা তেমনি বাড়বে সরকারের রাজস্ব। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগণ পরিকল্পিত উদ্যোগ নিলে এগিয়ে যাবে হাকালুকি হাওরের পর্যটন।

 

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাওর ও দেশের অন্যতম  মিঠা পানির মৎস্যভান্ডার খ্যাত হাকালুকির আয়তন ১৮.১১৫ হেক্টর। হাওরে দিন দিন কমছে দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ। হাকালুকিতে ১০৭ প্রজাতির দেশীয় মাছ থেকে বর্তমানে ৪৪ প্রজাতি-ই বিলুপ্ত। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন, প্রজননের সময় অবাধে মৎস্য শিকার, অভয়াশ্রমের অপ্রতুলতাসহ নানা কারণে বিলুপ্ত হচ্ছে এসব দেশীয় মাছ।

 

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও হাওরের প্রতিবশে এবং জীব বৈচিত্র নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কাজ করা বেসরকারি এনজিও সংস্থার তথ্যমতে, দেশের মৎস্যভান্ডার খ্যাত হাকালুকিতে সরকারি ২৩৮টি বেসরকারী ৩৮টি বিল রয়েছে। এ হাওরে ১০৭ প্রজাতির দেশীয় মাছ ছিলো। যা বিলুপ্ত হতে হতে বর্তমানে ৬৩ টি প্রজাতির দেশীয় মাছ রয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় ৪৪ প্রজাতির মাছের মধ্যে অন্যতম হলো চিতল, পাবদা, রানী মাছ,  আইড়, চাপচেলা, মেনী মাছ, বাঁশপাতা, গুজি আইড়, দেশী সরপুঁটি, ফেনী মাছ, বাতাসি ও বাঁশাপতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় সুস্বাদু মাছ।

 

সরজমিনে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হাকালুকি হাওরে গেলে কথা হয় স্থানীয় অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ইমরানুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, হাকালুকি হাওর প্রকৃতির অপরুপ এক নিদর্শন। হাওরের দৃশ্য যে কারও মন জুড়াবে। পরিযায়ী পাখি আকাশে উড়ার দৃশ্য কত সুন্দর তা বলে বুঝানো যাবে না।

 

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ ছুটে আসেন হাকালুকি হাওরে। বর্ষায় বিশাল জলরাশির মধ্যে ভেঁসে থাকা হিজল-করচ বন, আবার শীত মৌসুমে হিজল-করচ-তমালের নিচে গা ছমছমে গুল্মলতা আরোং এর বিশাল ঝোঁপ-জঙ্গল। পরিকল্পিত ভাবে হাকালুকির উন্নয়ন হলে সরকারের রাজস্বর পাশাপাশি স্থানীয়দের অনেক কর্মসংস্থান হবে।

 

হাকালুকিতে ঘুরতে আসা স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী ও ব্যবসায়ী মর্তুজা আলী বলেন, হাওরের  প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা দেশি-বিদেশী পর্যটককে জানাতে পারলে এখানে বাড়বে পর্যটকের  সংখ্যা। এক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বেশি প্রয়োজন।

 

হাকালুকি হাওরে সম্প্রতি জুড়ী রিপোর্টাস ইউনিটি বনভোজনে যায়। সেখানে কথা হয় রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মো. মনিরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, হাওরে প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক যান। কিন্তু সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা ভালো নয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করলে সেখানে পর্যটকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

 

মৌলভীবাজার আধুনিক ট্যুরিজম এন্ড ট্রাভেলস এর স্বত্ত্বাধিকারী আশরাফ আলী বলেন, পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে হাকালুকি হাওরে। এক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। বিল থেকে অবাধে মাছ আহরণ বন্ধ করতে হবে। বর্ষা মৌসুমী হাওরে বেড়ানোর জন্য উন্নত মানের নৌকার ব্যবস্থা করা জরুরি। আর বাহিরের পর্যটকদের জন্য সরকারি বা বেসরকারিভাবে ভাবে কয়েকটি পয়েন্টে রেষ্ট হাউজ করলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।

 

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, হাকালুকি হাওরের পর্যটন নিয়ে নিয়ে আমাদের মাষ্টার প্লান রয়েছে। হাওরের জীববৈচিত্রকে রক্ষা করে কিভাবে পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছে  ট্যুরিজম বোর্ড। আশাকরি শীঘ্রই সেই পরিকল্পনাটি প্রকাশ করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/জ.ই.প্র/জাহাঙ্গীর

Link copied!