পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “যদি আমরা প্রকৃতিকে রক্ষা করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হবে।”
তিনি আরও বলেন, পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে হলে পরিকল্পিত নগরায়ন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, নিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ অপরিহার্য।
শনিবার বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’ শ্লোগানে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালি, সাইকেল র্যালি, সিটি ট্যুর ও ফুড স্টল উদ্বোধনের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, তরুণ সমাজকে প্রকৃতিনির্ভর পর্যটনের প্রতি আগ্রহী করতে সরকার ইতোমধ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন—সিলেটের চা-বাগান, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন ও পাহাড়ি অঞ্চলের জলপ্রপাত—সকলকে অমূল্য সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এসব সম্পদ রক্ষা করলেই টেকসই পর্যটন নিশ্চিত করা সম্ভব।”
তিনি সবাইকে দায়িত্বশীল পর্যটন চর্চায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান; এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা।
একুশে সংবাদ/এ.জে