বাংলাদেশে এখন বইছে শরৎকাল। শরৎকাল হলেও প্রকৃতিতে বর্ষার স্নিগ্ধতার রেশ এখনো বিরাজ করছে। গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ভাটিরা গ্রামের কছম বিলে ফুটেছে লাল শাপলা। প্রতিদিন ভোরে দর্শনার্থীরা বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন।
স্থানীয় আবু তাহের বলেন, “বিলের ভাসমান লাল শাপলার সৌন্দর্য চোখ ফেরানো দায়। ক্ষণিকের জন্য হলেও পথচারীরা সেখানে দাঁড়িয়ে লাল শাপলার দিকে তাকিয়ে থাকেন। কেউ কেউ মুঠোফোনে ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন।”
শাপলা শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, প্রান্তিক মানুষের জীবিকাও নিশ্চিত করছে। এই বিল থেকে শাপলা ও শালুক আহরণ করে স্থানীয়রা হাটবাজারে বিক্রি করেন। তবে বিলে নৌকা না থাকায় দর্শনার্থীরা পুরো বিল ঘুরে দেখতে পারছেন না।
দর্শনার্থী ও স্কুল শিক্ষক সোহরাব আলী সরকার বলেন, “আমি বন্ধুদের সঙ্গে লাল শাপলা দেখতে এসেছি। হালকা বাতাসে দুলে ওঠা ফুলগুলো দেখেও মুগ্ধ হয়েছি।” মাদ্রাসা পড়ুয়া কিশোর-কিশোরীরাও সকালবেলায় বিলের শাপলা দেখে মুগ্ধ হন।
কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহিনুর ইসলাম বলেন, “লাল শাপলা বা রক্তকমল (Nymphaea Rubra) একটি পরিচিত জলজ উদ্ভিদ। উজ্জ্বল লাল রঙের পাপড়ি এবং মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এটি জলাশয়ের পানিকে পরিষ্কার রাখতে, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতে এবং জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ফল শালুক জলজ প্রাণী ও মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লাল শাপলার ডাঁটা জনপ্রিয় সবজি এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও আয়রন রয়েছে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে