শরৎ মানেই কাশফুলের মনোরম ছটা। ঢাকার কাছাকাছি কয়েকটি জায়গায় কাশবনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য কিছু জনপ্রিয় কাশবনের খোঁজ:
১. ৩০০ ফিট সড়ক
কালো পিচঢালা রাস্তার দুই পাশে বিস্তৃত কাশবন। মনোরম প্রান্তর এবং নদীর তীর দর্শনার্থীদের মনে ছাপ ফেলে।
২. দিয়াবাড়ি
ফটোশুট এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আদর্শ। নদীর তীরের হিমেল বাতাস আরও আনন্দ যোগ করে।
৩. আফতাবনগর
রামপুরা ব্রিজের কাছাকাছি, জহুরুল ইসলাম সিটি দিয়ে এগোলে দেখা যায় বিস্তৃত কাশবন। ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় জনপ্রিয়।
৪. হযরতপুর
কেরাণীগঞ্জের কালিগঙ্গা নদীর তীরের বিস্তীর্ণ ভূমিতে কাশফুল। খেয়া নৌকায় নদী পার হলে প্রান্তরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
৫. ধলেশ্বরী নদী
মাওয়া সড়কের কুচিয়ামারা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর দুই তীরে কাশফুলের সমারোহ দেখা যায়।
৬. মায়াদ্বীপ
মেঘনার বুকে ছোট দ্বীপে কাশফুলের সৌন্দর্য এবং স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা উপভোগ করা যায়। গুলিস্তান থেকে নৌকায় পৌঁছানো যায়।
৭. পদ্মা নদী
মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট থেকে নৌকায় ঘুরে দেখা যায় পদ্মার তীরবর্তী কাশবন। নদীতে ভ্রমণের সঙ্গে প্রান্তরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
৮. যমুনার চর
মানিকগঞ্জের আরিচা ফেরিঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে যাওয়া যায় যমুনার চরে বিস্তৃত কাশফুলের রাজ্যে।
৯. মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বিস্তৃত বালুময় প্রান্তর। বসিলা সড়ক ধরে ওয়াশপুরের ফাঁকা জমিতেও কাশফুলের সমারোহ দেখা যায়।
কাশফুল ভ্রমণের পরামর্শ:
নিরাপত্তার জন্য দলবদ্ধভাবে বা পরিচিত এলাকার কাশবনে যাওয়া ভালো।
এলার্জি বা অ্যাজমা থাকলে এ ধরনের ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
সিন্থেটিক পোশাক পরিধান করলে কাশফুলের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় সমস্যা হবে না।
শরতের যেকোন সময় কাশফুল ফোটে, যাওয়ার আগে নিশ্চিত করুন।
বৃষ্টির ২-৩ দিনের মধ্যে কাশফুলের সৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে, তাই সেই সময়ে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
শরতের সোনালি আলো আর কাশফুলের শুভ্রতার মাঝে ঢাকার কাছের এই কাশবনগুলো মনকে প্রশান্তি দেবে এবং প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার সুযোগ তৈরি করবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

