ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার গোহালকাঠী গ্রামের বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার পাঁচ বছরের শিশু সন্তানসহ ঘরছাড়া হয়েছেন, কারণ তিনি স্বামী মো. সোহেল হাওলাদার ও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌতুক এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় নলছিটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামী বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাখরকাঠী এলাকার মো. সোহেল হাওলাদার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে ঘরছাড়া করেছেন।
তিনি বলেন, “বিয়ের পর ভালো সময় কাটলেও পরে স্বামী কাতার প্রবাসী বড় ভাই মাছুদ হাওলাদারের স্ত্রী হেপী বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে, পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।”
অভিযোগে আরও বলা হয়, পরে স্বামী সোহেল ছোট ভাই সোহাগ হাওলাদারের স্ত্রী সারমিন বেগমের সঙ্গেও পরকীয়ায় জড়ায় এবং স্থানীয়ভাবে ধরা পড়ার পর পালিয়ে যান। এরপর বাড়িতে ফিরে এসে তার ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি ও ভোটার আইডি, সন্তানের জন্মসনদ আটকে রাখে। এসব কাগজপত্র ফেরত চাওয়ার সময় প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
সুমাইয়া জানায়, তার স্বামী ৮ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন, যার মধ্যে ৩ লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে দিয়েছেন। বাকি ৫ লাখ টাকা না দিলে ঘরে তোলা হবে না বলে হুমকি পাচ্ছেন।
গত ২৮ এপ্রিল সুমাইয়া নলছিটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেছেন এবং পরদিন তার মা ফরিদা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
ফরিদা বেগম বলেন, সোহেল বিভিন্ন নম্বর থেকে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এখন আর কোনো শান্তি নেই।
সুমাইয়া বর্তমানে ছেলে নিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত, দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদারের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, আদালত থেকে এখনও আমাদের কাছে কোন ওয়ারেন্ট পৌঁছায়নি।
একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.জে