টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ মিশন শেষে আজ দেশে ফিরেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন তারা। এবারের বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এক আসরে সর্বোচ্চ তিন ম্যাচ জয়ের নজির এবারই গড়লো টাইগাররা। কিন্তু তবুও আসরজুড়ে বাজে পারফরমেন্সের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ দল।
বিমানবন্দরে পা রেখেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বারবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইট পর্বের শেষ ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনেছেন।
টাইগারদের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গে তাসকিন বললেন, ‘না, আসলে সত্যি কথা বলতে, ভালোর তো শেষ নেই। হ্যাঁ, আরও অনেক ভালো হতে পারত। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা, আমরা সবাই একটু হতাশ হয়েছি। আমরা জেতার চেষ্টা করেছি প্রথমে, ১২ ওভারের মধ্যে, যখন বুঝতে পারলাম ১২ ওভারের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না, তখন স্বাভাবিকভাবে খেলার চেষ্টা করেছিল সবাই। তাও জিততে পারিনি।’
দলের বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে এই পেসার বলেন, ‘হ্যাঁ, ইতিবাচক দিক আছে। পুরো টুর্নামেন্টে বোলিং যথেষ্ট ভালো করেছে। সুপার এইটে এসেছি। সর্বপ্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। মানে পজেটিভ আছে। কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও জানি, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি। বোলিং ইউনিট আগাগোড়াই কয়েক বছর ধরে ভালো করছে। সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। সামনে আরও ভালো হবে। ভালোর তো শেষ নেই।’
ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে সহ-অধিনায়ক বলেন, ‘আর ব্যাটিং, বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কম ছিল। আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্য দেশের বড় বড় ব্যাটসম্যানকেও সেখানে ধুঁকতে হয়েছে। সেখানে বোলারদের একটু বাড়তি সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা ভালো উইকেটে খেলেছি।’ পরে এ কথাও বলেছেন, ‘কিন্তু আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময়, লাস্ট ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনোই এত লম্বা ব্যাডপ্যাচ দেখিনি। আশা করি এটা কাটিয়ে উঠবে।’
দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা দুই সদস্য লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ফিরছেন না। একদিন পর ২৯ জুন তাদের ফেরার কথা রয়েছে। দেশে ফেরার পর দুই সপ্তাহের লম্বা ছুটি পাবেন শান্তরা। এরপর তাদের চট্টগ্রামে চলমান টাইগার্স ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ছুটিতে যাবেন জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের সদস্যরা। দুবাই থেকে যে যার মতো ছুটিতে যাবেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহেরা। আগামী ১৯ জুলাই তাদের দেশে ফেরার কথা।
একুশে সংবাদ/ এস কে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

